পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চা বাগানের কর্মীদের দৈনিক মজুরি ১৬৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬৫ টাকা করারও প্রতিশ্রুতি দেন প্রিয়াঙ্কা। সেইসঙ্গে ক্ষমতায় এলে তরুণদের জন্য ২৫ লক্ষ সরকারি চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রীর কথায়, পাঁচ বছর ধরে বিজেপি অসমবাসীকে ঠকিয়েছে। ২৫ লক্ষ চাকরি দেওয়ার পরিবর্তে সিএএ দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দল ফাঁকা বুলি আওড়ায় না, পাঁচ দফা প্রতিশ্রুতির নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
এদিকে, বিশ্বনাথে গিয়ে রাজ্যবাসীকে চমক দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। সাধুরু চা বাগানে তাঁকে চা পাতা তুলতে দেখা গিয়েছে। পরনে ছিল মেরুন রঙের শাড়ি। পিঠে ঝুড়ি। কোমরে বাঁধা অ্যাপ্রন। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে থাকা মহিলা শ্রমিকেরা তাঁকে শিখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে চা পাতা তুলে ঝুড়িতে রাখতে হয়। পরে সেই ভিডিও ট্যুইট করে চা শ্রমিকদের সারল্য এবং জীবনের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। গতকাল তাঁকে ঝুমুর গানের আসরেও দেখা গিয়েছিল। সেখানেও কেন্দ্রকে একহাত নেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর অভিযোগ, কৃষকদের স্বার্থ বিবেচনা না করে মোদি সরকার নয়া কৃষি আইন চালু করেছে। যার একমাত্র লক্ষ্য হল, ধনীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে কংগ্রেস নেত্রীর প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে পাঁচ কিমি দূরে তিন লক্ষের বেশি কৃষক ধর্না দিচ্ছেন, অথচ তিনি তাঁদের সঙ্গে একবারের জন্যও দেখা করতে যাননি। উনি বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে কী ক্ষতি হতো? কৃষকদের যেখানে সমস্যা রয়েছে, সেখানে তাঁদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আইন পরিবর্তন করা উচিত। তা না করে উনি ধনী ও ক্ষমতাশালীদের জন্য আইন প্রণোয়ন করছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে আব্বাসের নেতৃত্বাধীন আইএসএফের সঙ্গে জোট করা নিয়ে দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। আদর্শ ভুলে অসমে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে জোট বাঁধা নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশের প্রধান বিরোধী দল। এদিন তা নিয়েও মুখ খুলেছেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আমাদের প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান জবাব দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, অসমের ক্ষেত্রে এটা অসমবাসীর স্বার্থে সিদ্ধান্ত। আমাদের সঙ্গে ওদের (এআইইউডিএফ) আদর্শগত ফারাক রয়েছে। জোটসঙ্গী হিসেবে আমরা ১০০ শতাংশ সহমত নই। কিন্তু, এই যুদ্ধে আমরা একজোটে লড়ছি। কারণ, সবাই জানে এটা অসম বাঁচানোর লড়াই।