কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
কিন্তু কে দেবে রক্ত? গ্রামে কার্যত ঢ্যাঁড়া পিটিয়েও দাতার খোঁজ মেলেনি। এ কথা শোনামাত্রই বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে হাসপাতালে ছুটলেন উত্তরপ্রদেশের হবু বর-কনে। বেডে শুয়ে রক্ত দিলেন। প্রাণ বাঁচল খুদের। পুলিসের সৌজন্যে তাঁদের এই মহানুভবতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। যুগলকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
সোমবার উত্তরপ্রদেশ পুলিসের আধিকারিক আশিস মিশ্র তাঁদের ছবি ট্যুইটারে পোস্ট করেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বরের বেশে ছেলেটি রক্তদান করছেন। তাঁর পরনে শেরওয়ানি। গলায় মালা। পাশেই কনের সাজে দাঁড়িয়ে তাঁর হবু স্ত্রী। গায়ে ঝকমকে লেহেঙ্গা। দু’ হাত ভর্তি চুড়ি। গলায় রকমারি হার। ছবিটি পোস্ট হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।
রক্তগ্রহীতাদের সঙ্গে দাতাদের যোগাযোগ করে দিতে ‘পুলিস মিত্র’ নামে একটি প্রকল্প রয়েছে আশিসের। তাঁর কাছ থেকেই ওই একরত্তি মেয়ের কথা জানাতে পারেন ওই যুবক-যুবতী। তারপর বিয়ের পিঁড়ি ছেড়ে ছুটে যান হাসপাতালে। যুগলের ছবি পোস্ট করে আশিস লিখেছেন, ‘একটি বাচ্চার রক্তের দরকার ছিল। কিন্তু, কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। নিজের বাচ্চা নয় বলে কেউই আগ্রহ দেখাচ্ছিলেন না। কিন্তু, বিয়ের দিন এই জুটি রক্ত দিয়ে তার জীবন বাঁচিয়েছেন।’
এই নজির তৈরি করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় যুগলকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অসংখ্যা মানুষ। একজন লিখেছেন, ‘আপনারা নজির তৈরি করলেন। অন্যদেরও এভাবেই এগিয়ে আসতে হবে।’ আর একজন লিখেছেন, ‘দারুণভাবে আপনারা এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখলেন।’ যুগলকে বৈবাহিক জীবনের জন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন অসংখ্য নেটিজেন।