বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সোমবার ভারতীয় সেনা সূত্রে অবশ্য উত্তেজনা প্রশমনে বলা হয়েছে, সিকিমের ওই সীমান্তে সংঘর্ষ হয়েছে ঠিকই, তবে সেটি বড় কোনও সংঘর্ষের পর্যায়ে যায়নি। স্থানীয়ভাবেই কয়েক দফার বৈঠকে বিষয়টির মীমাংসা করা গিয়েছে। এখন আর কোনও সমস্যা নেই। স্থানীয় কমান্ডার স্তরেই ওই সমস্যা মেটানো গিয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে সেনাবাহিনী। যদিও সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, লাদাখে গত বছরের মে মাস থেকে চলা যুযুধান সংঘাত। পরিস্থিতি নিরসনে রবিবার ছিল নবম দফার শান্তি বৈঠক। ঠিক তার প্রাক্কালে চীনের লালফৌজ সিকিম সীমান্তে নাকু লায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। অর্থাৎ একদিকে চীন আলোচনার পথেই সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, আবার আলোচনার ফাঁকেই অন্য রুটে ভারতে প্রবেশ করে ভূমি দখলের চেষ্টা করেই চলেছে।
প্রসঙ্গত, মাত্র রবিবারই লাদাখের আটমাস ধরে চলা সংঘাতের আবহ নিয়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে নবম দফার বৈঠক হয়েছে। অন্তত ১৫ ঘন্টা ধরে চলেছে ওই বৈঠক। আলোচনা শেষ হয় সোমবার ভোরে। কিন্তু সেই বৈঠকও হয়েছে নিষ্ফলা। কোনও নির্দিষ্ট সমঝোতা চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। অবিলম্বে সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে, এই মর্মে চীন আশ্বাস দেয়নি। সুতরাং ভারত ও চীনের মধ্যে টেনশন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ভারত যেহেতু তার মধ্যেই জানতে পারে সিকিমে নতুন করে অনুপ্রবেশের চেষ্টার বার্তা, সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করা হয়। ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কখনও লাদাখ, কখনও সিকিম, কখনও অরুণাচল প্রদেশে চীনের সেনাবাহিনী লাগাতার প্ররোচনামূলক আচরণ করছে। রীতিমতো উত্তপ্ত হয় বৈঠক। আবার বৈঠক হবে এই সিদ্ধান্ত হলেও, তা কবে হবে সেটা স্থির হয়নি। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, শিলিগুড়ি করিডরে দ্রুত পৌঁছতেই সিকিমকে টার্গেট করা হচ্ছে। কারণ, ওই করিডরই হল ভারতে প্রবেশের সর্বাপেক্ষা মসৃণ পথ। ঠিক এরকমই এক প্রেক্ষাপটে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে সোমবার রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করেন চীন নিয়ে। রাহুল বলেছেন, মিস্টার ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বহুকাল হয়ে গেল ‘চীন’ শব্দটি আর উচ্চারণই করেন না! -ফাইল চিত্র