কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান ছিল। সরকারি এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য রাখার ঠিক আগেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান উঠে আসে দর্শকদের মধ্যে থেকে। যে ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও বক্তব্য না রেখে প্রতিবাদের বার্তা দিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে যান। জানিয়ে দেন, এটা সরকারি অনুষ্ঠান, কোনও দলের নয়। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিবাদকে যথার্থ বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মানুষ। এমনকী, ওই ঘটনায় পর রাজনৈতিক মহল থেকে সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট মানুষজন প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। এই অবস্থায় বিজেপি বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে যতই দোষ ঢাকার চেষ্টা করুক, বাংলার মানুষ তা মেনে নেবেন না বলে একবাক্যে জানিয়ে দেন পরিষদীয় মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে দেশনায়ককে অপমানিত করা হয়েছে। ওই কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চাইছেন না বিজেপির নেতা-সমর্থকরা, বরং তাঁরা বাহুবলী কায়দায় বলছেন যা করেছি, বেশ করেছি! এই অবস্থায় তাঁদের বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সর্বস্তরে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।
এখানেই পার্থবাবু উল্লেখ করেছেন, একটি নিন্দা প্রস্তাব বিধানসভাতেও আনা হবে। এদিনই রামলীলা ময়দান থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত পদযাত্রা করে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। পরে ধর্মতলায় প্রতিবাদ সভা হয়। সেখানে পার্থবাবু বলেন, সারা দেশের নেতাজিপ্রেমীরা ব্যথিত। নেতাজিস্মরণের নাম করে রাজনৈতিক মঞ্চের ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলার মানুষ গর্জে উঠেছেন। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। যারা অপমান করল নেতাজিস্মরণের অধিকার তাদের নেই। এদিন ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলেও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট মানুষজন। দেশনায়কের অপমানের প্রতিবাদে কলকাতা ও জেলায় জেলায় প্রতিবাদে শামিল হওয়ার ডাক দেন পার্থবাবু।