বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রবিবার ছিল জাতীয় শিশুকন্যা দিবস। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে অভিনব উদ্যোগ নেয় উত্তরাখণ্ড সরকার। একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসানো হয় সৃষ্টিকে। হরিদ্বারের দৌলতপুরের বাসিন্দা সৃষ্টি কৃষিবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই এদিন দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত শিশু বিধানসভা অধিবেশনেও অংশ নেন। দেরাদুনে বিধানসভা ভবনে বসেছিল ওই অধিবেশন। পরে উত্তরাখণ্ড সরকারের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী গয়েরসাইন থেকে রাজ্য পরিচালনা করেন তিনি।
২০১৮ সালে উত্তরাখণ্ড শিশু বিধানসভার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন সৃষ্টি। এখনও তিনি ওই পদে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গালর্স ইন্টারন্যাশনাল লিডারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে থাইল্যান্ড যান তিনি। এছাড়াও গত দু’বছর ধরে উত্তরাখণ্ড সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত সৃষ্টি। দক্ষতা দেখেই জাতীয় শিশুকন্যা দিবসে তাঁকে একদিনের মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা এদিন হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে। তাঁরা সষ্টির সামনে পাঁচ মিনিট করে নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। সৃষ্টি খতিয়ে দেখেন আয়ুষ্মান প্রকল্প, স্মার্ট সিটি প্রকল্প, পর্যটন বিভাগের হোম স্টে সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প। একদিনের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে অভিভূত সৃষ্টি বলেন, ‘এমনটা যে হতে পারে, ভাবতেই পারছি না। নিজেকে বিশ্বাস হচ্ছে না। বিভিন্ন দপ্তরের কাজকর্ম দেখব। তবে শিশুকন্যাদের উন্নয়নেই আমার পরামর্শ প্রাধান্য পাবে। কৃষি-কৃষকের উন্নয়নেও আধিকারিকদের কাছে আমার মতামত জানাব।’
সৃষ্টির বাবা প্রবীণ গোস্বামী ছোট একটি দোকান চালান। মা সুধাদেবী গৃহবধূ। মেয়ের সাফল্যে খুশি তাঁরা। বলেন, ‘আমরা আজ সত্যিই গর্বিত। প্রত্যেক মেয়েই তাঁর লক্ষ্যকে ছুঁতে পারে। দরকার শুধু তাদের অনুপ্রেরণা জোগানো। আমাদের মেয়েকে এই উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য উত্তরাখণ্ড সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর দর্শন সিং রাওয়াত বলেন, ‘এ ধরনের উদ্যোগ গোটা দেশের মেয়েদেরকেই বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবে। তাদের বড় স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করবে। কোনওভাবেই তারা হীনমন্যতায় ভুগবে না। ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার সাহস পাবে মেয়েরা।’