গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবারই দিল্লি পুলিসের সঙ্গে বৈঠকের পর সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়ে দিয়েছিল, ‘২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর প্যারেডের অনুমতি দিয়েছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা।’ রবিবার বিক্ষোভরত কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আর একপ্রস্থ বৈঠক হয় দিল্লি পুলিসের।তারপরেই দিল্লি পুলিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘শর্তসাপেক্ষে সাধারণতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর প্যারেড করতে পারবেন চাষিরা।’ যদিও এদিন সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের সংগঠনের গোলমাল পাকানোর দাবি। দিল্লি পুলিস জানিয়েছে, ‘ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।’ ইতিপূর্বে বিজেপি অভিযোগ করেছিল, কৃষক আন্দোলনে মাওবাদী, খলিস্তানি, পাকিস্তানিরা ইন্ধন জোগাচ্ছে। এদিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার বলেছেন, ‘কৃষক আন্দোলনে কিছু শক্তি নিজেদের গোপন করে রেখেছে। তারাই চাইছে না যে, এই আন্দোলন শেষ হোক। চাষিদের দাবি পূরণে কেন্দ্র সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছে। কৃষি আইনের পক্ষে দেশজোড়া সমর্থন রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন্দ্র দেড় বছর পর্যন্ত কৃষি আইন কার্যকর স্থগিত রাখতে চাইছে। অথচ কৃষকরা শুধুমাত্র কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন। তাঁরা নিজেদের ভালো বুঝতেই পারছেন না।’
যদিও কিষান গণতন্ত্র প্যারেডের অনুমোদনের ঘটনায় এটা স্পষ্ট যে, আন্দোলনের চাপে পিছু হটা ছাড়া আর কোনও বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না মোদি সরকার। এদিনও গাজিপুর সীমানায় ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ‘ট্রাক্টর প্যারেড শেষ হওয়ার পর কৃষকরা ফের আন্দোলনে বসবেন। যতদিন পর্যন্ত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে।’ মঙ্গলবার কৃষকদের ট্রাক্টর প্যারেড ঘিরে এই মুহূর্তে দিল্লি সংলগ্ন সীমানাগুলিতে প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে। ২৬ জানুয়ারি কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় হবে ট্রাক্টর প্যারেড। এখন থেকেই তার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিস। সিংঘুতে ড্রোনের সাহায্যে চলছে দফায় দফায় নজরদারি। গাজিপুর সীমানায় ইনস্টল করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। সার দিয়ে দাঁড়ানো ট্রাক্টরের জন্য রবিবার প্রায় তিন কিলোমিটার লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়েছে পানিপথ টোল প্লাজায়। আম আদমি পার্টির পাঞ্জাব কমিটি জানিয়েছে, ট্রাক্টর প্যারেডে অংশ নিতে দলের সমস্ত বিধায়ক সোমবার পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানা থেকে দিল্লির উদ্দেশে মিছিল করবেন। এদিকে, কিষান সংসদে অংশ নিতে সিংঘু সীমানায় হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস এমপি রভনীত বিট্টু। কিন্তু, বিক্ষোভস্থল থেকে তাঁকে বের করে দেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। অন্যদিকে, সংযুক্ত কিষান মোর্চা একটি বিবৃতি জারি করেছে। কিষান প্যারেডের জন্য একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কৃষকদের বলেছে, তাঁরা যেন প্যারেডে অংশ নেওয়ার সময় ২৪ ঘণ্টার রেশন মজুত রাখে। সবমিলিয়ে ১৯ দফার নির্দেশিকা জারি হয়েছে বিক্ষোভরতদের জন্য।