রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বাংলায় বামেরা যখন এবারও দেশপ্রেম দিবসের সেই দাবিকে পাথেয় করে পথে নেমেছে, তখন তাদের ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বাধল তাদের শাসিত একমাত্র রাজ্য কেরলে। সিপিএম নেতৃত্বাধীন পিনারাই বিজয়নের সরকার এদিন নেতাজির ১২৫তম জন্মদিনকে কার্যত উপেক্ষাই করল। দেশপ্রেম দিবস বা বিশেষ মর্যাদায় পালন দূরের কথা, এদিন তিরুবনন্তপুরমে রাজ্য বিধানসভা ভবনের সামনেই অবস্থিত নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে সরকারের তরফে কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়নি। এমনকী, মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন সহ তাঁর মন্ত্রিসভার কেউ সুভাষের সেই মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানাতেও এগিয়ে আসেননি। সরকারি স্তরে দিনটি উদযাপনের জন্য কোনও নির্দেশও ছিল না। তবে বিজয়নদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সবচেয়ে বেশি। কারণ, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই দিনটি দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালনের পক্ষে কেন্দ্রের কাছে সওয়াল করে আসার পরও কীভাবে পিনারাইরা এই অবস্থান নিলেন—প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েই।
এদিন অবশ্য কেরলে নেতাজিকে স্মরণ করার পথ থেকে বামেদের মতো পিছিয়ে থাকেনি সুভাষের নিজের দল ফরওয়ার্ড ব্লক এবং কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস দপ্তর ইন্দিরা ভবনে সকালের অনুষ্ঠানে দলীয় কাজে যাওয়া রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মুল্লাপল্লি রামচন্দ্রন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডি, বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালার মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা হাজির ছিলেন। শহরের নেতাজির মূর্তিতে মালা দেন তারিক আনোয়ারের মতো কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতাও। ফরওয়ার্ড ব্লকের জাতীয় সম্পাদক জি দেবরাজনসহ দলের রাজ্য নেতারা শ্রদ্ধা জানান সেখানে।
সিপিএম সহ বামজোটের দলগুলি বা তাদের পরিচালিত সরকারের এদিনের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন দেবরাজনরা। নিজেরা বামপন্থী হলেও এখন তাঁরা কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের শরিক। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার কোনও কিছুই করল না। এমনকী, সিপিএমসহ বামজোটের কোনও দলই ওই পথ মাড়াল না। এর থেকেই বোঝা যায় যে নেতাজি নিয়ে ওদের প্রকৃত অবস্থান কী। সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত রাজ্য সম্পাদক এ বিজয়রাঘবন বলেন, নেতাজির জন্মদিন সরকারি বা দলীয় স্তরে পালনের রেওয়াজ রাজ্যে নেই। অতীতেও কখনও তা হয়নি। তাই এবারের ২৩ জানুয়ারিতে ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে শুক্রবার দলের মুখপত্রে আমরা নেতাজিকে নিয়ে ছবিসহ বিরাট প্রবন্ধ ছেপেছি তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে। এনিয়ে বিরোধীরা অহেতুক জলঘোলা করছে।