গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গতকাল পুনেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের নির্মীয়মাণ বহুতলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। গতকালই মৃতদের পরিবারপিছু ২৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে সিরাম। এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে ও সিরাম কর্তা পুনাওয়ালা যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন। পুনাওয়ালা বলেন, আগুনের গ্রাসে পড়া বহুতলটি একেবারে নতুন। বিসিজি ও রোটাভাইরাস টিকা উৎপাদনের জন্য ওই বহুতলটি তৈরি করা হচ্ছে। তবে সেখানে ভ্যাকসিন উৎপাদন এখনও শুরু হয়নি। ফলে কোনও ভ্যাকসিনেরই কোনও রকম ক্ষতি হয়নি। আগুন লাগা সত্ত্বেও করোনার টিকা কোভিশিল্ডও যে অক্ষতই রয়েছে, এদিন তা নিয়ে ফের আশ্বস্ত করেন সিরাম কর্তা। তিনি বলেন, যে ইউনিটে কোভিশিল্ড তৈরি ও সংরক্ষিত হচ্ছে, সেখানে কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি সরঞ্জামের ক্ষতি হয়েছে। পুনাওয়ালার কথায়, মূলত আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। টিকা উৎপাদন বা সরবরাহের কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে গতকালের ঘটনার জেরে ভবিষ্যতে বিসিজি ও রোটাভাইরাস টিকার জোগান ব্যাহত হবে বলে স্বীকার করে নেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সিরাম ইনস্টিটিউটে আগুন লাগার পিছনে কারও কোনওরকম গাফিলতি ছিল কি না। তিনি বলেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না। গাফিলতি ছিল, নাকি অন্য কোনও কারণে আগুন লেগেছে, তদন্তের পরই তা জানানো সম্ভব হবে।
পৃথিবীর সর্বাধিক টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা হল সিরাম ইনস্টিটিউট। পোলিও, ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হেপাটাইটিস বি, হাম, মাম্পস ও রুবেলার মতো ভ্যাকসিন তৈরি করে সিরাম। পাশাপাশি ১০০ একর জমিতে তৈরি পুনের এই বিশাল ক্যাম্পাসেই কোভিশিল্ড উৎপাদনের কাজ চলছে। আগুন লাগার কারণ নিয়ে উদ্ধব জবাব এড়িয়ে গেলেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানান, ওয়েল্ডিংয়ের ফুলকি থেকে এই বিপত্তি। তিনি বলেন, রোটাভাইসার টিকার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছিল। চারপাশে ছড়িয়ে ছিল প্রচুর দাহ্য পদার্থ। ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলার সময় তার ফুলকি থেকে আগুন লাগে। পুলিস তদন্ত করছে। বহুতলটির ফায়ার অডিটও হবে।