বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আগে যেখানে কর্পোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ ছিল, সেখানে শিল্পে উৎসাহ দিতে তা ২৫ শতাংশেই নামিয়ে আনে কেন্দ্র। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বিকাশ আগরওয়ালের কথায়, এখন যেখানে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২৫ শতাংশ, সেখানে আয়করের হারের সর্বোচ্চ সীমা ৪২.৭৪ শতাংশ। কর্পোরেট ট্যাক্স এবং আয়করের মধ্যে কোথাও একটা সামঞ্জস্য থাকা উচিত বলে মনে করেন বিকাশবাবু। তাঁর কথায়, সাধারণ মানুষের জন্য আয়কর আইনও এখনও যথেষ্ট জটিল। যেখানে ব্যবসার পর সহজ করার কথা বলছে কেন্দ্র, সেখানে এই কর ব্যবস্থারও সরলীকরণ করা দরকার। একই সুরে কথা বলেছে মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিও। এখানকার ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল শুভাশিস রায় বলেন, এখন যেখানে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে কর ছাড় পাওয়া যায়, সেখানে তা অন্তত সাত লক্ষ টাকায় নিয়ে যাওয়া দরকার। সাধারণ মানুষ সবসময়ই করের বোঝা লাঘব করার কথা বলেন বা তা পেলে খুশি হন। কিন্তু এই সাধারণ চাহিদার থেকে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। করোনা সংক্রমণ যেভাবে সর্বস্তরে আর্থিক প্রভাব ফেলেছে, তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্তরাই। আমাদের দাবি, সরকার এই দিকটি ভেবে দেখুক। অন্যদিকে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার গত কয়েক মাসে বেশ কিছু প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আর্থিকভাবে তাদেরও আরও সুরাহা ও নিরাপত্তা প্রয়োজন। সেই কারণেই এই শিল্পগুলির আয়করে অন্তত দু’বছরের জন্য রেহাই দরকার। পর্যটন শিল্পের মতো যে পরিষেবা শিল্পগুলি গত এক বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য সেভাবে বিশেষ কিছু প্যাকেজ ঘোষিত হয়নি। এই শিল্পের টিকে থাকার জন্য এবারের বাজেটে কিছু ঘোষণা খুব প্রয়োজন, মনে করছেন শুভাশিসবাবুরা।
ছোট শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজ চেয়েছে ইন্ডিয়ান চেম্বারও। তাদের দাবি, এই শিল্পের জন্য ইতিমধ্যেই ঋণের সুদের উপর দু’শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এক কোটি টাকা পর্যন্ত কর্যকরী মূলধনের ব্যবসায় শর্তসাপেক্ষে এই সুবিধা পাওয়া যাবে আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত। বণিকসভাটির দাবি, এক কোটি টাকার সীমা বাড়িয়ে এই সুবিধা দেওয়া হোক তিন কোটি টাকার কার্যকরী মূলধনের উপর। সুদ মকুবের হারও দু’শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তিন বা চার শতাংশ হোক, চায় তারা।
বন্ধন ব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা বিভাগের প্রধান সিদ্ধার্থ সান্যাল বলেন, সরকার সেইসব খাতে খরচ বাড়াক, যার প্রভাব আর্থিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত সদর্থকভাবে পড়বে। সেই তালিকায় অবশ্যই ছোট শিল্প অন্যতম। পাশাপাশি পরিকাঠামো এবং আয়ত্তের মধ্যে বাড়ি বা কৃষি ক্ষেত্রেও বরাদ্দ বৃদ্ধি জরুরি। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার দিকগুলিও আরও মজবুত হওয়া দরকার। অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া দরকার ১০০ দিনের কাজের মতো প্রকল্পগুলিকে এবং কারিগরি শিক্ষার উপর, যাতে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ে।