পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মোদি সরকারের আশায় জল ঢেলে এদিনই কৃষকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন, কিছু সময়ের জন্য আইন স্থগিতে তাঁদের বিন্দুমাত্র সায় নেই। একমাত্র আইন প্রত্যাহার হলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। বৃহস্পতিবার ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ‘সরকারের প্রস্তাব আন্দোলনকারীরা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন।’ আজকের বৈঠকেও কৃষকরা ফের সরকারকে বিতর্কিত আইন বাতিলের ব্যাপারে চাপ দেবেন। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী পাল্টা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজনে আইন স্থগিত করা হলেও তা কোনওমতেই প্রত্যাহার করা হবে না। অর্থাৎ, কেন্দ্র-কৃষক তীব্র সংঘাতের আবহ তৈরি থাকছে। উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের চাপে পড়েই আপাতত এক থেকে দেড় বছর নয়া কৃষি আইন কার্যকর না করার প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি জানিয়েছে, সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে তারা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সোচ্চার হবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এদিন এক ট্যুইট বার্তায় কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেছেন, ‘প্রতিদিন নিত্যনতুন প্রতিশ্রুতি দেওয়া বন্ধ করুন। সরাসরি আইন বাতিল করুক সরকার।’
তবে কেন্দ্রকে সবথেকে বেশি বিপাকে ফেলেছে সাধারণতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ঘোষিত কর্মসূচিই। কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, এদিনের বৈঠকে দিল্লি পুলিস তাদের আউটার রিং রোডের পরিবর্তে কুণ্ডলি-মানেসর-পলওয়াল (কেএমপি) হাইওয়েতে মিছিল করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কৃষকরা কোনও প্রস্তাবেই রাজি হননি। কারণ দিল্লির রাস্তা ছেড়ে দিল্লির সীমানায় বা অন্যত্র ট্রাক্টর মিছিল করা সম্ভব নয়। আগামী কাল, শনিবার ফের ট্রাক্টর-প্যারেড ইস্যুতে পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন কৃষকরা। আটটি রাজ্যের আইন সমর্থনকারী ১০ কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বৈঠক করেছে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করে দেওয়া কমিটি। স্থির হয়েছে, মতামত নেওয়ার জন্য একটি ওয়েব-পোর্টাল তৈরি করা হবে। আগামী ২৭ জানুয়ারি ফের এই কমিটির বৈঠক হবে বলেই জানিয়েছে কৃষিমন্ত্রক। এদিনও তিক্রি সীমানায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে একজন আন্দোলনকারী কৃষকের।