বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎই পুনের মঞ্জরীতে সিরামের নির্মীয়মাণ একটি বহুতলের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আগুন লেগে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে ফের আগুন দেখা যায় সেখানে। মঞ্জরীর এই কেন্দ্রেই কোভিশিল্ড উৎপাদন চলছে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে ভ্যাকসিনের উৎপাদন ও সংরক্ষণের কাজে কোনও ক্ষতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান আদর পুনাওয়ালা। ভ্যাকসিন নিরাপদেই রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, আগুনের গ্রাসে চলে যাওয়া বহুতল থেকে কোভিশিল্ড উৎপাদনের ইউনিটটির দূরত্ব এক কিলোমিটার। ১০০ একরের বেশি জমিতে গড়ে উঠেছে সিরামের এই কেন্দ্রটি। পুলিস জানিয়েছে, দমকলের ১৫টি ইঞ্জিনের প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে মোট ন’জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যার দিকে ভবনটির অন্য অংশে ফের আগুন দেখা যায় বলে খবর। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুনেতে সিরাম ইনস্টিটিউটের এসইজেড-৩ কমপ্লেক্সে অবস্থিত নির্মীয়মাণ এই বহুতলটি। দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে ভবনটির চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় আগুন লেগে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। পুনের ডেপুটি পুলিস কমিশনার নম্রতা পাতিল বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা ন’জনকে উদ্ধার করেছি। স্বাভাবিকভাবেই ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে তৈরি হয় উদ্বেগ। ভ্যাকসিন তৈরির কাজ বিঘ্নিত হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়। যদিও আশঙ্কা দূর করেন খোদ সিরাম কর্তা আদর পুনাওলায়া। তাঁর ট্যুইট, সরকার ও সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে বলছি, কোভিশিল্ড তৈরির কাজে কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ, এধরনের বিপত্তির কথা মাথায় রেখেই ভ্যাকসিন তৈরির অনেকগুলি বিকল্প ভবন তৈরি রাখা হয়েছে। তবে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সিরাম কর্তা। সন্ধ্যায় তিনি ট্যুইট করে বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানির খবর সামনে এসেছে। আমরা শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
অন্যদিকে, দমকল বিভাগের প্রধান প্রশান্ত রানপিসে বলেছেন, ঘটনাস্থলে রান্নার কাজ চলছিল। তা থেকেই আগুন লেগেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দু’ঘণ্টার মধ্যে মোট ১৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ভবনটিতে বড় কোনও মেশিন বা যন্ত্রাংশ ছিল না। সরকারি সূত্রে খবর, উদ্ধারের কাজে সাহায্যের জন্য ঘটনাস্থলে যায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেন, পুনে কর্পোরেশনের কাছ থেকে ঘটনার খবর পাই। বিস্তারিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পুনে কর্পোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে খোঁজ খবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই ট্যুইট করে একথা জানানো হয়েছে।