বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত কয়েকমাসের কাজের নিরিখে মনে করা হচ্ছে, মার্চের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বরাদ্দ অর্থ। সেই কারণেই উৎসাহিত হয়ে এবার সরকার চাইছে দ্বিগুণ বরাদ্দ করতে। কোভিড সংক্রমণ চলাকালীন দেশজুড়ে সবথেকে বড় যে সমস্যা প্রতিটি রাজ্যে দেখা গিয়েছে সেটি হল হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড নেই। দ্বিতীয়ত যথেষ্ট ডায়াগনস্টিক ক্লিনিকও নেই। সংক্রমণ-প্রবণ রোগের জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রের সংখ্যাও যথেষ্ট কম। আসন্ন বাজেটে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বরাদ্দও তাই দ্বিগুণ করার কথা ভাবা হয়েছে। সাধারণ বাজেট বরাদ্দের পাশাপাশি ভ্যাকসিন বাজেটও ঘোষণা করা হবে। সেই ভ্যাকসিন বাজেটের জন্য বরাদ্দ টাকায় ভ্যাকসিন ক্রয় করা হবে। পরিকাঠামো নির্মাণ এবং সংক্রামিত রোগের হাসপাতাল নির্মাণেও দেওয়া হবে জোর। তবে কেন্দ্র চাইছে রাজ্য ও কেন্দ্র একসঙ্গে একটি করে সংক্রামিত রোগের হাসপাতাল গড়ে তুলুক। স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণার জন্য অর্থমন্ত্রকের কাছে নোটও পাঠিয়েছে।
তৃতীয় যে মন্ত্রক এবার সবথেকে বেশি অর্থবরাদ্দ পেতে চলেছে সেটি হল গ্রামোন্নয়ন। বিশেষ করে গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এ পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে অর্থনীতির মন্দা থেকে বেরিয়ে আসার এবং গ্রামীণ কর্মসংস্থানে সবথেকে বেশি সুরাহা করেছে ১০০ দিনের কাজ। অর্থমন্ত্রক সূত্রের খবর, অক্টোবর নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে ১০০ দিনের কাজে যে চাহিদা তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে, সেটা রেকর্ড। গত আর্থিক বছরে প্রথমে বাজেটে ঘোষণা করা হয়েছিল ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে ৬২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কোভিডের জেরে লকডাউন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়তে থাকে। প্রধান কারণ পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক শহর ও কর্মস্থল থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায়। আর তারপর কর্মসংস্থানের সঙ্কট চরমে ওঠে। কেন্দ্র এরপরই অতিরিক্ত ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে। অর্থাৎ গত আর্থিক বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ১০০ দিনের কাজে। এবারও সেই পরিস্থিতির সামগ্রিক উন্নতি হবে না আগামী বেশ কিছু মাস। তাই এবার ১০০ দিনের কাজের উপরই সবথেকে বেশি নির্ভর করছে কেন্দ্র। আর সেই কারণেই এই প্রকল্পেও বরাদ্দ বাড়বে অনেকটাই। -ফাইল চিত্র