গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বিক্ষোভরত কৃষকরা জানিয়েছেন, দিল্লির ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে যেসব এলাকা রয়েছে, সেখান থেকে ২৫ জানুয়ারি রাতের মধ্যে কৃষকরা ট্রাক্টর নিয়ে দিল্লি সংলগ্ন বিভিন্ন সীমানায় জমায়েত করতে শুরু করবেন। দূরবর্তী যেসব রাজ্যের কৃষকরা কোনওভাবেই দিল্লিতে পৌঁছতে পারবেন না, তাঁদের সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজধানী শহরে একইভাবে ট্রাক্টর-মিছিলের আয়োজন করতে বলা হয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা এদিন জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই কিষান প্যারেডের বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করা হবে। জানা যাচ্ছে, ২৬ জানুয়ারি দিল্লির রাস্তায় বাইক-মিছিলও করতে পারেন কৃষকরা। ট্রাক্টর-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে পারেন মহিলা কৃষকরা।
কিষান মোর্চা জানিয়েছে, সোমবার দিল্লি সংলগ্ন সীমানাগুলির পাশাপাশিই সারা দেশে মহিলা কিষান দিবস পালন করা হবে। মহিলা কৃষক ইস্যুতে সরকারের কাছে পেশ করা হবে মোট ১২ দফা দাবি। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠিও পাঠিয়েছে সারা ভারত কিষান সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি। আগামী ৩০ জানুয়ারি দিল্লির সীমানায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালনেরও পরিকল্পনা করছেন কৃষকরা।
কেন্দ্রকে চাপে ফেলে এদিন ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, কৃষকরা চাইলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারেন। কারণ এটি তাঁদের নীতির লড়াই। ৫৪ দিনের লড়াইয়ে ১৩১ জন কৃষক ‘শহিদ’ হয়েছেন। এরপরেও তাঁরা পিছু হটবেন না। এদিন বিক্ষোভরত কৃষকরা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আন্দোলন দমন করতে না পেরে এনআইএ’কে ব্যবহার করছে কেন্দ্র। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। কৃষকরা আইনিভাবেই এর লড়াই করবেন।’ আন্দোলনের সমর্থনে তাঁদের কারা অর্থ সাহায্য করেছেন, তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হবে। ছবি: পিটিআই