বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় স্থগিত ছিল নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ। কয়েকদিন আগে সর্বোচ্চ আদালত সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। প্রকল্পে সায় দিয়েছে ১৪ সদস্যের হেরিটেজ প্যানেলও। এরপরেই পুরোদমে শুরু হয়ে গিয়েছে ত্রিকোণাকৃতি আধুনিক নকশার নতুন সংসদ ভবনের কাজ। দিনরাত চলছে নির্মাণকার্য। কারণ হাতে সময় অত্যন্ত কম। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের বাদল অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনেই করার টার্গেট নিয়েছেন মোদি। তাঁর অভিমত, প্রস্তাবিত নতুন সংসদ ভবন হবে আত্মনির্ভর ভারতের অন্যতম নির্দশন। এই প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ৯৭১ কোটি টাকা।
নতুন ভবন নির্মাণে জায়গা করে দিতেই বর্তমান সংসদ ভবনের সামনে থাকা গান্ধী মূর্তি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দু’ একদিনের মধ্যেই বিশালাকার ওই মূর্তি ক্রেনে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। বসানো হবে সংসদ ভবনে লোকসভার স্পিকারের প্রবেশ-প্রস্থানের দরজার (তিন নম্বর গেট) সামনে ছত্রপতি শিবাজির মূর্তির বাঁদিকে। তার জন্য তৈরিও হয়ে গিয়েছে সিমেন্টের মঞ্চ। চলছে বাহারি ফুল, পাতা দিয়ে আশপাশ সাজানোর কাজ। গান্ধী মূর্তি সরানোয় সংসদ সদস্যদের আবেগে আঘাত বলেই অনেকের মত। অবশ্য কেবল গান্ধী মূর্তিই নয়, নতুন সংসদ ভবনকে জায়গা করে দিতে কৃষক নেতা দেবীলাল, পণ্ডিত পন্থ সহ সব মিলিয়ে ৯টি মূর্তি সরানো হবে।
নতুন সংসদ ভবন তৈরি হয়ে গেলে বর্তমান গোলাকার সংসদ ভবনটি পরিণত হবে সংগ্রহশালায়। ৯৪ বছর আগে ১৮ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছিল বর্তমান ভবনটির। যেখানে বসত ইম্পেরিয়াল লেজিসলেটিভ কাউন্সিল। ১৯২১ সালে শুরু হয়ে ছ’ বছর ধরে যা তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ স্থপতি এডুইন লুটিয়েন্স এবং হার্বাট বেকারের নকশায়। পরে যা পরিণত স্বাধীন ভারতের আইন প্রণয়নের আঁতুড়ঘর, পার্লামেন্ট অব ইন্ডিয়া।