পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সাম্প্রতিককালে একের পর এক নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দেখা গিয়েছে, হয় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছে অথবা গ্রাহকদের জমা টাকা ফিরিয়ে দিতে পারেনি। ২০১৮ সাল থেকেই এই প্রবণতা বেড়েছে। বেশ কিছু চিটফান্ডকে সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার বিধিনিয়মের অধীনে আনার প্রক্রিয়া বেশ কিছু বছর আগে থেকেই নেওয়া হয়েছে। গত বছরই নতুন কিছু সংশোধনী এনে বেআইনি চিটফান্ড সংস্থাকে হাতেনাতে ধরা কিংবা বৈধ চিটফান্ডকে কড়া নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থা হয়েছে। এবার নতুন করে বেসরকারি আর্থিক সংস্থা ও চিটফান্ডকে নতুন কিছু বিধিনিয়মের অধীনে আনা হবে। এদের প্রত্যেককে আগামীদিনে নির্দিষ্ট অঙ্কের নগদ টাকা রিজার্ভ ব্যঙ্কে গচ্ছিত আছে, এটা দেখাতেই হবে। এই নিয়মের আওতায় এতদিন বেশ কিছু বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছিল না। জেলা সমবায় ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্ক, কৃষি উন্নয়ন সমিতি ইত্যাদি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে যেভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরিং এবং আইনের আওতায় আনা হয়েছে, তেমনভাবেই এবার আরও একঝাঁক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে চিট ফান্ড ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রে। মোট সম্পত্তির অন্তত ১৮ শতাংশ নগদ, সোনা অথবা সরকারি বন্ড আকারে ব্যাঙ্কের কাছে রাখতে হবে। বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও চিটফান্ডের কিছু অংশকে সরকারি পরিভাষায় শ্যাডো ব্যাঙ্ক বলা হয়। সরকারের হিসেবে অন্তত ১০ হাজার শ্যাডো ব্যাঙ্ক দেশজুড়ে কাজ করছে। এদের সঠিক লাইসেন্স নেই। ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই এরা ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুসরণ করে না। টাকা জমা রেখে সুদ প্রদান করার লাইসেন্স ছাড়াই অনেকেই কাজ করে চলেছে। এই সামগ্রিক অনিয়ম বন্ধ করতেই অভিযানে নামবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।