পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে ‘বৃহত্তম’ এই কর্মযজ্ঞে এখনই অংশ নিতে পারছেন না আইন প্রণেতারা। সরকারি সূচকে ‘প্রায়োরিটি গ্রুপে’র মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা আপাতত টিকা নিতে পারবেন না। এমনই ফতোয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এই নির্দেশনামার আওতায় চলে আসছেন লোকসভা এবং রাজ্যসভার কয়েকশো এমপি এবং অবশ্যই মোদি মন্ত্রিসভার সদস্যরা। এমপিদের অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। লোকসভা, রাজ্যসভার বহু সদস্য ভেবেছিলেন, আসন্ন বাজেট অধিবেশনে সংসদেই হয়তো হবে করোনার ভ্যাকসিনেশন। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, লোকসভার স্পিকার নিজেও এ ব্যাপারে আগ্রহী। তবে সরকারের শীর্ষ সূত্র থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকেও বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। বলেছেন, ‘না, জনসাধারণের মধ্যে তাহলে ভুল বার্তা যাবে। সবাই বলবে, জনতা পাচ্ছে না, এমপিরা টিকা নিয়ে নিচ্ছে!’
আর প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে ৮৮ বছর বয়সি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং, ৮৭ বছরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়াদের টিকাকরণ অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাচ্ছে। কোভিড যোদ্ধাদের পর অন্তত তাঁদেরই সুযোগ পাওয়ার কথা ছিল। কারণ, তাঁরা পঞ্চাশোর্ধ্ব ও কো-মরবিড। সংসদের তথ্য মোতাবেক, লোকসভার প্রায় ৭২ শতাংশ এমপির বয়স পঞ্চাশের বেশি। সংখ্যায় ৩৮৯। একইভাবে রাজ্যসভার ২০৪ জন এমপিও পঞ্চাশোর্ধ। স্বয়ং মোদি ৭০। কিন্তু কেউই আপাতত করোনার টিকা পাচ্ছেন না। তৃণমূলের এমপি, ৭৩ বছর বয়সি সৌগত রায় বলেন, সরকার যদি এমপিদের এখন ভ্যাকসিন দেবে না বলে ঠিক করে থাকে, কীই বা বলার আছে। যখন দেবে নেব!’ ব্যতিক্রম শুধু কোভিড ডিউটি করা কয়েকজন ডাক্তার এমপি। যেমন আজ উত্তরপ্রদেশে টিকা নেবেন গৌতম বুদ্ধ নগরের বিজেপি এমপি মহেশ শর্মা।
ক্ষোভ এবং সংশয়ের এই বাতাবরণেও অবশ্য টিকাকরণ কর্মসূচি নিজ গতিতে চলবে। রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের এক পদস্থ সূত্র জানান, সোম, মঙ্গল, শুক্র ও শনি নিয়ম করে টিকাকরণ চলবে। সরকারি ছুটিছাটা বা অন্য জরুরি পরিস্থিতি এলে দিন বদলাতে পারে। শুক্রবার দফায় দফায় টিকাকরণের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্যকর্তারা। চাহিদা অনুযায়ী প্রতি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন পৌঁছে গিয়েছে। টিকাগ্রহণের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চটজলদি ব্যবস্থা নিতে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের মতো বেশ কিছু হাসপাতাল আইসিইউয়ের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে রেখেছে। পৃথক শয্যা, অ্যাড্রেনালিন ইঞ্জেকশন, অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসকদের বিশেষ দল—আয়োজন সম্পূর্ণ। সম্ভাব্য প্রাপকদের কো-উইন ওয়েবসাইটে নাম তুলতে সমস্যা হলে তার বিকল্প ব্যবস্থাও রয়েছে।