পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দিল্লি-রোহতক করিডর। রাস্তা ধরে খানিক এগলেই এমসিডি টোল প্লাজা। আপাতত পুলিসে পুলিসে ছয়লাপ। মজুত র্যাফ। সেই টোল প্লাজার কিলোমিটার খানেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে ব্যারিকেড। বিক্ষোভস্থলে পৌঁছনোর জন্য একের পর এক ব্যারিকেড টপকে যেতে হবে। কোথাও লোহার, কোথাও সিমেন্টের। প্রতিটি ব্যারিকেডেই পুলিস, র্যাফ বেষ্টনী করে দাঁড়িয়ে। দুটো ব্যারিকেডের মাঝখানেই একটি করে অস্থায়ী পুলিস ছাউনি। সর্বশেষ যে ব্যারিকেড, সেখান থেকে যতদূর চোখ যাচ্ছে, পুরোটাই মাথা আর মাথা বিক্ষোভকারী কৃষকদের। বিক্ষোভ বৃহস্পতিবার অষ্টম দিনে পড়েছে। আন্দোলনের তীব্রতার পরিপ্রেক্ষিতে সিংঘু সীমানা যদি ‘এপিসেন্টার’ হয়, তিক্রির স্থান তাহলে তার পরেই।
একেবারে গোড়ায় পাঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমানার পাশাপাশি কৃষক ও পুলিসের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধেছিল সিংঘু এবং তিক্রিতেও। আর তারপর থেকেই দিল্লি-হরিয়ানা সীমানা বরাবর এই এলাকা পুলিসের মাথাব্যথার কারণ। নজরদারিতে যে ঢিলেমি নেই, তিক্রি ঘুরে তা স্পষ্ট। সিংঘু সীমানায় অবরোধ করে রাখা কৃষকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের কাছে আগামী ছয় মাসের রেশন মজুত রয়েছে। তিক্রি জানাল, রসদ রয়েছে অন্তত সাত-আট মাসের। অর্থাৎ, তাঁদের কোনও তাড়া নেই। রাস্তা অবরোধ করে একদিকে চলছে কৃষি আইন বিরোধী একের পর এক স্লোগান ও ভাষণ। অন্যদিকে রাস্তার একপাশে খাবারের জোগাড়ে ব্যস্ত বিক্ষোভকারীদের একাংশ। রুটি, সবজি। সঙ্গে কাঁচা পেয়াজ। বলবিন্দর, যশবিন্দর, নভজিৎরা স্পস্ট জানাচ্ছেন, ‘কৃষকেরা দেশ বাঁচাতে বেরিয়েছেন। সময় তো লাগবেই। মোদিজিকো আব খুন সে লিখেঙ্গে চিঠঠি।’