কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিল্লিতে সন্ত্রাস দমন শাখার অফিসাররা বলছেন, ছোট আকারের ড্রোন ব্যবহারের পরীক্ষা চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরেই। এবার অত্যাধুনিক সংস্করণের বড় চীনা ড্রোন কিনেছে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি। তাদের সাহায্য করছে আইএসআই। বড় আকারের এই চীনা ড্রোনগুলির মাধ্যমে আরও বেশি পরিমাণে ভারী ও অত্যাধুনিক আগ্নেয়ান্ত্র জোগান দেওয়ার ষড়যন্ত্র সামনে এসেছে। এক অফিসার বলেন, শীতে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাহাড়গুলি বরফে ঢেকে গিয়েছে। জঙ্গিদের কাছে এই সময় অনুপ্রবেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তান তাই আকাশপথে সীমান্তের এপারে বেশি পরিমাণে অস্ত্র পাঠানোর চেষ্টা শুরু করেছে। শুধু কাশ্মীর নয়, এ জন্য পাঞ্জাব সীমান্তকেও ব্যবহারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। সেখান থেকে এইসব অস্ত্রশস্ত্র কাশ্মীরে পাঠানোর ছক কষা হয়েছে। এ বিষয়ে একাধিক গোয়েন্দা তথ্য হাতে এসেছে। সাম্প্রতিক একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে অন্য একটি পরিকল্পনাও সামনে এসেছে। ইসলামাবাদের মদতে পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে সক্রিয় হয়েছে খলিস্তানি গোষ্ঠীগুলিও। পাঞ্জাবে কৃষক আন্দোলনকে পরোক্ষে মদত দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে। খলিস্তানি সংগঠনগুলির লক্ষ্য, পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে পাঞ্জাবে ফের হিংসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। কেন্দ্রের পাশাপাশি এই রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে পাঞ্জাব পুলিসের কাছেও। সরকারি সূত্রে খবর, গত ১২ আগস্ট থেকে শুধুমাত্র পাঞ্জাবে চীনা ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র পাচারের চারটি চেষ্টা ভেস্তে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে শুধু অস্ত্র পাচার নয়, এই পরিকল্পনার অন্য উদ্দেশ্যও রয়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, ছোট ড্রোনের মাধ্যমে অতীতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে উৎসাহ বেড়েছে আইএসআই ও পাক জঙ্গি সংগঠনগুলির। শুধু অস্ত্র সরবরাহে থেমে না থেকে ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রও চলছে। উন্নত প্রযুক্তির বড় চীনা ড্রোনে বিস্ফোরক বোঝাই করে এই পরিকল্পনা কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের টাক্সিলাতে লস্কর-ই-তোইবা ও জয়েশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছিল আইএসআইয়ের। সেই বৈঠকেই ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা নিয়ে প্রথমবার আলোচনা হয়। পরের মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের কোটলি জেলায় এ বিষয়ে ফের বৈঠক হয়। শীতে বরফে ঢাকা সীমান্তের সুযোগ নিয়ে পাকিস্তান আকাশপথে চীনা ড্রোনের গতিবিধি আরও বাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। বিশেষ করে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে। পাকিস্তানের এই নতুন ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করা এখন ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীগুলির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় পাঞ্জাব পুলিস কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় বিমানবাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলেছে, সীমান্ত বরাবর কম উচ্চতায় ড্রোনের গতিবিধি ধরার জন্য রেডারের ব্যবস্থা করা হোক, যাতে এই ড্রোনগুলিকে সহজেই ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব হয়। এমনকী আন্তর্জাতিক সীমান্তের নজরদারিতে থাকা বিএসএফও দ্রুত অ্যান্টি-ড্রোন সিস্টেম কিনতে উদ্যোগী হয়েছে বলে খবর।