কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বছরের ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ ধারা খারিজের পর এই প্রথম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট অনুষ্ঠিত হল। করোনা বিধি মেনে সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়েছিল ভোটগ্রহণ। চলে দুপুর দু’টো পর্যন্ত। মোট আট দফায় ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট হবে। গণনা ২২ ডিসেম্বর। ডিডিসির পাশাপাশি ১২ হাজার ১৫৩টি পঞ্চায়েত আসনেও ভোট গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে সিংহভাগ আসনই কাশ্মীরে। বাকি জম্মুতে। জঙ্গি হানার শঙ্কায় এমনিতেই কড়া নিরাপত্তা ছিল উপত্যকায়। জেলা উন্নয়ন পরিষদে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৪০টি করে মোট ২৮০টি আসন রয়েছে। বুথ ২ হাজার ৬৪৪টি। আট দফার ভোটে এদিন প্রথম রাউন্ডের ল়ড়াইয়ে ভাগ্য নির্ধারণ ১ হাজার ৪৭৫ জন প্রার্থীর। মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লক্ষ।
এদিকে, স্থানীয় বিষয় ছেড়ে জম্মু ও কাশ্মীরের জেলা উন্নয়ন পরিষদ ও পঞ্চায়েতের ভোটে প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে আনার দাবি। ওই দাবিতে এক জোট হয়েছে ফারুক আবদুল্লার এনসি, মেহবুবা মুফতির পিডিপি সহ কাশ্মীরের ১০টি দল। জোটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি)। ওই জোটের বিরোধিতায় নেমেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, নাগরিকত্ব পেয়ে শনিবার প্রথম ভোট দিয়েছেন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীরা। সেইসঙ্গে রয়েছেন বাল্মিকী, গোর্খা সম্প্রদায়। প্রায় দেড় লক্ষ শরণার্থী রয়েছেন আখনুর, সাম্বা, হীরানগর এবং জম্মুতে।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থী সুজাতি ভারতী বলেন, আমরা সাম্য, ন্যায় বিচার এবং স্বাধীনতার কথা শুনেছিলাম। আজ ওই শব্দগুলির আসল অর্থ বুঝতে পারছি। এই শরণার্থীদের ভোট চলতি নির্বাচনে অন্যতম ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।