মুম্বই: বম্বে হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। শুক্রবার তাঁর পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত। এদিন বম্বে হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, অভিনেত্রীর বাংলো ভাঙতে বৃহন্মুম্বই পুরসভার ইস্যু করা নোটিস বেআইনি। ফলে এবার ওই অফিস কাম বাংলোটি নতুনভাবে বাসযোগ্য করে তুলতে পারবেন কঙ্গনা। শুধু তাই নয়, ভাঙচুরের ফলে অভিনেত্রীর যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে (বিএমসি) সেটাও মিটিয়ে দিতে বলেছে আদালত। এদিন বিচারপতি এস জে কাথাওয়ালা ও বিচারপতি আর আই চাগলার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বাংলো ভাঙার সিদ্ধান্তটি ‘আইনের অপব্যবহার’। আদালতের পর্যবেক্ষণ, যা হয়েছে সেটা ‘ক্ষমতার অপপ্রয়োগ’ এবং এর কোনও ‘আইনি ভিত্তি’ নেই। এ ধরনের কাজ ‘নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী’। এভাবে নাগরিকের বিরুদ্ধে ‘শক্তি’ প্রয়োগ করতে পারে না কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আদালত এদিন জানিয়ে দিয়েছে, কোনও নাগরিক যদি কোনওরকম বেআইনি নির্মাণ করে তা সমর্থন করার প্রশ্নই আসে না। পাশাপাশি গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী যে ধরনের ট্যুইট করেছেন, সেটাও অনুমোদন যোগ্য নয়। এক্ষেত্রে আগামী দিনে তাঁর সংযত হওয়া উচিত বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশের পর কঙ্গনা ট্যুইট করে জানান, যখন কেউ সরকারের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, তখন তাঁর সেই জয় নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তির মধ্যে আর সীমাবদ্ধ থাকে না। সেটি গণতন্ত্রের জয় বলেই আখ্যা পায়। তাঁর পাশে যাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসে বৃহন্মুম্বই পুরসভা নোটিস জারি করে। বৃহন্মুম্বই পুরসভার জারি করা ওই নোটিসের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে পিটিশন জমা দেন অভিনেত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে বৃহন্মুম্বই পুরসভাকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে শিবসেনা। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিএমসি’র তরফে দাবি করা হয়, অভিনেত্রীর বাংলোর একটি অংশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবেই নির্মাণ করা হয়েছে। আদালত অবশ্য তা নাকচ করে দিয়েছে।
এদিকে, বাংলো ভাঙার ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএমসি’র কাছে দু’কোটি টাকা দাবি করেছেন অভিনেত্রী। এ ব্যাপারে ভ্যালুয়ার নিয়োগ করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ওই ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে।