বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন দলমত নির্বিশেষে দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন, এক বিকল্পহীন সহযোদ্ধা, আস্থাভাজন সহকর্মী ও বন্ধুকে হারালাম। প্রয়াত নেতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটারে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, খুবই দুঃখের দিন। শ্রী আহমেদ প্যাটেল কংগ্রেসের এক স্তম্ভ ছিলেন। তিনি আজীবন কংগ্রেসের জন্য বেঁচেছেন, সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তগুলিতে দলের পাশে থেকেছেন। দলের সম্পদ ছিলেন তিনি। আমরা তাঁর অভাব বোধ করব। ফৈজল, মুমতাজ ও পরিবারের প্রতি আমার ভালোবাসা ও সমবেদনা।
শীর্ষ কংগ্রেস নেতানেত্রীদের সঙ্গেই প্যাটেলের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্যুইট, আহমেদ প্যাটেলজির প্রয়াণে মর্মাহত। সমাজের সেবায় তিনি বহু বছর কাটিয়েছেন। কংগ্রেস পার্টিকে শক্তিশালী করতে ক্ষুরধার মস্তিষ্কের এই নেতার ভূমিকা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। পুত্র ফৈজলের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা প্রকাশ করেছি। আহমেদ ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, আহমেদ প্যাটেলের প্রয়াণে মর্মাহত ও স্তম্ভিত। তাঁর পরিবার, অনুরাগী ও সহকর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানাই।
কংগ্রেসের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ ছিলেন আহমেদ প্যাটেল। বন্ধুদের কাছে ‘এপি’ এবং সহকর্মীদের কাছে ‘আহমেদ ভাই’ বলে পরিচিত ছিলেন মৃদুভাষী এই নেতা। বর্তমানে গুজরাত থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন তিনি। সবমিলিয়ে আটবারের সংসদ সদস্য প্যাটেল। রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচবার, তিনবার লোকসভার। রাজ্যসভার সদস্য হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ পদেও ছিলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে গুজরাতের বারুচ জেলায় স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে আহমেদ প্যাটেলের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা। ১৯৭৭ সালে প্রথমবার লোকসভায় নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম লোকসভার সদস্য ছিলেন প্যাটেল। প্রথমবার রাজ্যসভায় প্রবেশ ১৯৯৩ সালের আগস্টে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর খুবই আস্থাভাজন ছিলেন তিনি। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সংসদীয় সচিব পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন আহমেদ। পরে গুজরাতে দলীয় সংগঠনের দায়িত্ব নেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস হাইকমান্ডেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন। চিরকাল কার্যত অগোচরে থেকে দলের অন্যতম শীর্ষ নীতি নির্ধারকের ভূমিকা পালন করে গেলেও কখনও মন্ত্রী হননি আহমেদ প্যাটেল। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই ভূমিকাই পালন করে গেলেন তিনি।