গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
দিল্লিতে নতুন করে বিবাহ কিংবা অন্য সামাজিক সমাবেশে জমায়েতের সংখ্যা কমিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। ভোপাল, ইন্দোর, আমেদাবাদ, গুয়াহাটি, জয়পুর, পুনের মতো শহরে করোনার সংক্রমণ বিপজ্জনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আবার ওই রাজ্যগুলিতে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় আবার ধাক্কা খেতে চলেছে অর্থনীতি। কারণ, দেওয়ালির পর এবার আসছে বিবাহের মরশুম। নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বিবাহ অনুষ্ঠান গোটা দেশেই অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সেই বিবাহ অনুষ্ঠানও এর ফলে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।
এছাড়া দিল্লিতে আবার নতুন করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যগুলি দিল্লি থেকে আসা ট্রেন ও বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ চাইছে। সোমবার গুজরাত, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং অসমে যেভাবে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ ফিরে এসেছে প্রবল আকারে, তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্টও। এই অবস্থায় সংক্রমণের মোকাবিলা করার একমাত্র অস্ত্র লকডাউনকে আর কার্যকরী বলে মনে করছে না অধিকাংশ রাজ্য। প্রায় কমবেশি সব রাজ্যই চাইছে লকডাউন না করে বিকল্প কোনও ব্যবস্থা। বহুদিন পর যখন ধীরে ধীরে ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প উৎপাদন স্বাভাবিকতায় ফিরছে, তখন নতুন করে লকডাউন হলে এই আর্থিক বছরে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না। এই কারণেই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র লকডাউনের রাস্তায় ফিরতে নারাজ।