পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত দিল্লি থেকে তাদের যে বার্তা দেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী ২৮ তারিখ রাহুলদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগে অধীর চৌধুরি চাইছেন, রাজ্য পার্টির প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে এব্যাপারে একবার মত বিনিময় করে নিতে। যার উদ্দেশ্য, হাইকমান্ডের মুখোমুখি হয়ে যাতে প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে সকলে বামেদের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়ার ব্যাপারে এক সুরে বক্তব্য পেশ করেন।
ভোটের রণকৌশল সংক্রান্ত বিষয়ে রাহুল গান্ধীদের ডাকা এই বৈঠকের ব্যাপারে এখন প্রবল আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে বাংলার বাম নেতৃত্ব। শনিবার তারা এই বৈঠক ডাকার খবর জেনে খানিকটা উদ্বেগে রয়েছেন তাঁরা। সিপিএম সহ বামফ্রন্টের একাধিক শরিক দলের নেতারা বলেছেন, জোট করে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার ব্যাপারে বামেরা গোড়া থেকেই আগ্রহ দেখিয়েছে। সেই মতো এবার নিজ নিজ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের পক্ষে আগাম সিলমোহরও আদায় করেছে তারা। পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু দিন দিল্লি কাটিয়ে রাজ্যে ফিরে অধীর নিজেও জোট করে ভোটে লড়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রকাশ্যে। হাইকমান্ডের অনুমোদন ছাড়া ওই পদে থেকে অধীর কিছুতেই ওই ঘোষণা করতেন না। এই অবস্থায় রাহুল গান্ধীরা এখন কেন রণকৌশল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য প্রদেশ নেতাদের মতামত জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, সেটা যথেষ্ট ধন্দ তৈরি করছে। কারণ, কংগ্রেসের কয়েকজন দিল্লির নেতা বামেদের পরিবর্তে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার ব্যাপারে বরাবরই আড়কাঠির কাজ করে থাকেন। এবারও তাঁদের কেউ কেউ এব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাই ২৮ তারিখ অনুষ্ঠিতব্য কংগ্রেসের ওই অভ্যন্তরীণ বৈঠকের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতেই হচ্ছে।
তবে রাহুলের বৈঠকে কী হবে তার অপেক্ষায় না থেকে নিজেদের আলোচনায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক আজ রবিবার বাম ও কংগ্রেসের যৌথ মিছিল বেরবে ২৬ তারিখের ধর্মঘটের সমর্থনে। একই ইস্যুতে কাল সোমবার কলকাতায় ধর্মতলা থেকে হেদুয়া পর্যন্ত সমস্ত গণসংগঠনের ডাকা মহামিছিলে পা মেলাবেন দুই শিবিরের রাজ্য নেতৃত্ব।