বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলওয়ামায় হামলার পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে। পাকিস্তানি সংসদে সে দেশের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর মন্তব্যের পরেই অপ্রত্যাশিত অস্ত্র পেয়ে বিরোধীদের আক্রমণ শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার তিনি বলেন, ‘পুলওয়ামা হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর আত্মত্যাগের ঘটনায় কিছু মানুষ দুঃখ পায়নি। তাঁরা নানা প্রশ্ন করেছেন। দেশ কখনও এই মানুষদের ভুলতে পারবে না। আমি সেসব বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাইনি। নীরবে সেসব অভিযোগ সহ্য করেছি। কারণ আমি জানতাম, এই আক্রমণ নিয়েই এঁরা রাজনীতি করছেন।’ এদিন তিনি দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গুজরাতের কেভাডিয়ায় বক্তব্য রাখেন। সেখানে মোদি বলেন, প্রতিবেশী দেশ যখন হামলার দায় স্বীকার করে, তখন আমাদের দেশের কুৎসিত রাজনীতির কারবারিদের মুখোস খুলে যায়। তাই দেশের স্বার্থে এই ধরনের রাজনীতি বন্ধ করতে বিরোধীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিন কংগ্রেস নেতাদের নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের আচরণে ভারতের শত্রুরা মদত পাচ্ছে। এঁরা শত্রুদের উৎসাহিত করছেন। মোদির অভিযোগ, ‘এঁরা আসলে ভারত বিরোধী শক্তিগুলির বোড়ে হিসেবে কাজ করছেন। এঁরা দেশ এমনকী তাঁদের দলেরও উপকার করছেন না।’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, কারও ভালো করলে তবেই ভালো কিছু ফিরে পাওয়া যায়। এর আগে দেশের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মজয়ন্তীতে রাষ্ট্রীয় একতা দিবস উপলক্ষে গুজরাতের কেভাডিয়ায় স্ট্যাচু অব ইউনিটিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন মোদি।
এদিকে, পুলওয়ামা নিয়ে ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়ে দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। শনিবার এই নিয়ে তাঁর ট্যুইট, ‘এখনও ভাবছি কোন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইব। ভাবছি কংগ্রেসকে কেন ক্ষমা চাইতে হবে?’ ফাওয়াদের মন্তব্য সামনে আসার পর শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর বলেন, ‘পাকিস্তান পুলওয়ামা হামলার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। এবার কংগ্রেস এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভাবকদের অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে।’ এই প্রসঙ্গে থারুর আরও বলেন, ‘সরকারের থেকে সেনার নিরাপত্তা চাওয়া কি অন্যায়?’