বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে দেশের বহু মানুষের আবেগের কথা অবশ্য বিস্মৃত হয়নি মোদি সরকার। বিশেষ করে বাঙালির মননে নেতাজির স্থান যে কোন উচ্চতায় অধিষ্ঠিত, তাও সম্যক জানে তারা। তাই আগামী ২৩ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্রের ১২৫তম জন্মদিবস সরকারি পর্যায়ে এমন সমারোহে পালনের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র, যাতে তা নিয়ে কোনও বিতর্কের অবকাশ না থাকে। কেবল একদিন নয়, গোটা বছর ধরেই নেতাজি বন্দনার প্ল্যান নিয়ে এগচ্ছে তারা। ঠিক কী আকারে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে, তার রূপরেখা চূড়ান্ত হয়নি এখনও। তবে সংস্কৃতি মন্ত্রককে নোডাল এজেন্সির ভূমিকা পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এব্যাপারে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে অবশ্য গোটা কর্মকাণ্ড মনিটরিং করা হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য শীঘ্রই একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘোষণা করবে সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই কমিটি বৈঠকে বসে সব কিছু চূড়ান্ত করবে। কমিটিতে স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, তথ্য মন্ত্রকের প্রতিনিধিদেরও যুক্ত থাকার কথা। স্বয়ং মোদিকে কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বা পরামর্শদাতার পদে রাখার কথাও ভাবা হয়েছে। কমিটিতে নেতাজি বিশেষজ্ঞ গবেষক, বসু পরিবার এবং আইএনএ’র জীবিত সদস্যদের কয়েকজনকে রাখার কথাও ঠিক হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রক সূত্রের খবর, ২৩ জানুয়ারি দিল্লির পাশাপাশি নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত কলকাতা, ওড়িশার কটক এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের মৈরাং শহরের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ও উদ্বোধনও করতে পারেন তিনি। তার মধ্যে রাজধানীর ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির পূর্ণাবয়ব মূর্তি ও আইএনএ স্মারক প্রতিষ্ঠার বিষয়টি রয়েছে। জাতীয় ছুটির পাশাপাশি ২৩ জানুয়ারি দিনটিকে দেশপ্রেম দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিও দীর্ঘদিনের। সেই সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার সম্ভাবনাও এবার রয়েছে। তবে অন্তর্ধান রহস্য উন্মোচনে জাপানের রেনকোজি মন্দিরে রক্ষিত তথাকথিত চিতাভষ্মের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যাপারে ওঠা দাবি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী এবার মুখ খোলেন কি না তার দিকে নজর থাকবে সকলের।