উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় মডেল স্টেট ছিল কেরল। কিন্তু ওনাম উৎসবের পর থেকেই কেরলের পরিস্থিতি খারাপ হতে আরম্ভ করেছে বলেই লক্ষ্য করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তথ্য বলছে, মহারাষ্ট্রে যেখানে একদিনে ৫ হাজার ৩৬৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, কেরলে সেখানে তা ৫ হাজার ৪৫৭। তাই তড়িঘড়ি দক্ষিণের এই রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হচ্ছে। পাশাপাশি তামিলনাড়ুর সঙ্গে বুধবার ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন।
রাজধানী দিল্লির অবস্থাও আচমকা বদলে গিয়েছে। গত ২ মার্চ দিল্লিতে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর থেকে একদিনে এত পরিমাণ আক্রান্ত হওয়ার খবর এই প্রথম। ৪ হাজার ৮৫৩ জন। যাকে তৃতীয় ওয়েব বলেও ইঙ্গিত করা হচ্ছে। জুন-জুলাই মাসে প্রথম চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছিল সংক্রমণ। তারপর গত ১৬ সেপ্টেম্বর দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা হয়েছিল ৪,৪৭৩। কিন্তু সেটিও ছাপিয়ে গেল এখন। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির স্কুল আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কেজরিওয়াল সরকার। কেন্দ্রের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী ২ নভেম্বর থেকে স্কুল খোলার প্রাথমিক পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি মোটেই সুবিধাজনক নয়। তাই আপাতত স্কুল বন্ধ থাকছে বলেই জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির শিক্ষামন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া। পরিস্থিতি যাতে কোনওভাবেই হাতের বাইরে চলে না যায়, সেজন্য আনলক পর্বে কন্টেইনমেন্ট জোনে নজরদারি আরও কড়াকড়ি হচ্ছে। দিল্লিতে মোট ৩ হাজার ৩২টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে।
তারই মধ্যে পড়ছে শীত। বাড়ছে দূষণ। তাই দিল্লির পরিস্থিতি নিয়েও মন্ত্রকে চলল ঘনঘন বৈঠক। পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানায় ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর পাশাপাশি ফি বছর দিল্লির দূষণ তৈরি করে শ্বাস সমস্যা। তাই মধ্যে শীতের সময়ে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলেই কেন্দ্রের তৈরি কোভিড বিশেষজ্ঞ কমিটির মত। এমনকী দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা পৌঁছতে পারে ১৫ হাজারেও। এই আন্দাজ সামনে রেখে কমিটির প্রধান তথা নীতি আয়োগের সদস্য এইমসের চিকিৎসক ডাঃ ভি কে পল কেন্দ্র এবং রাজ্যকে সতর্কও করেছেন। সেই মতো দফায় দফায় বৈঠক করে একদিকে যেমন টেস্ট বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, একইসঙ্গে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চেষ্টা চলছে বাড়তি শয্যার ব্যবস্থা।