পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জঙ্গি হিসেবে এ দিন যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার সাজিদ মির, ইউসুফ মোজাম্মেল, লস্করের মাথা হাফিজ সহিদের শ্যালক আব্দুর রহমান মাক্কির। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের প্রতিষ্ঠাতা রিয়াজ ভাটকল ও তার ভাই ইকবাল ভাটকলেরও নাম রয়েছে ওই জঙ্গি তালিকায়। যারা একাধিক নাশকতায় অভিযুক্ত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা পাওয়া দাউদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ চার সহযোগী শেখ সাকিল ওরফে ছোটা সাকিল, মহম্মদ আনিস শেখ, ইব্রাহিম মেমন ওরফে টাইগার মেমন ও জাভেদ চিকনার নামও রাখা হয়েছে ওই জঙ্গি তালিকায়। ১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলা ছাড়াও দাউদের গ্যাংয়ের হয়ে অপরাধ জগতের বহু কাজের সঙ্গে জড়িত তারা। লস্কর-ই-তৈবার শাখা সংগঠন ফালাহ-ই-ইনসানিয়াতের সাহিদ মেহমুদ রেহমতুল্লাকেও ঘোষণা করা হয়েছে জঙ্গি হিসেবে। একইসঙ্গে ২০০২ সালে অক্ষরধাম মন্দিরে হামলা ও ২০০৫ সালে হায়দরাবাদে আত্মঘাতী হামলায় অভিযুক্ত পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনের আবু সুফিয়ানকেও রাখা হয়েছে ওই জঙ্গি তালিকায়।
সংশোধিত ইউএপিএ আইনেই এদের জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। এর আগে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের জন্য সংগঠনগুলিকেই শুধুমাত্র জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হতো। কিন্তু ২০১৯ সালের আগস্টে পাশ হওয়া সংশোধিত ইউএপি আইনে এখন সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত কোনও ব্যক্তিকেও জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত যেতে পারে। সংশোধিত ইউএপিএ আইন পাশ হওয়ার পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে চারজনকে এবং চলতি বছরের জুলাইয়ে ন’জনকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করে নয়াদিল্লি। সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মোদি সরকারের তরফে জাতীয় সুরক্ষাকে আরও মজবুত ও সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করার লক্ষ্য সামনে রেখেই এদিন ১৮ জনকে জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। দেশে শান্তির বাতাবরণ নষ্ট করাই এদের মূল লক্ষ্য।