কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মোদি বলেন, ‘যারা নিজেরা দুর্নীতিতে যুক্ত, তারা সর্বদা এর দায় গরিবদের উপর ঠেলে দেয়। কিন্তু আমি সর্বদা বলি, দেশের গরিব মানুষ কোনওদিন সততা ও আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করেন না। পিএম এসভিএ নিধি যোজনার মাধ্যমে গরিব মানুষের সততার উদাহরণ ফের দেশের সামনে উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশের হকাররা কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবন-জীবিকা চালানোর সঙ্গেই ঋণের টাকা পরিশোধ করছেন। একেই বলে ইচ্ছাশক্তি, কঠিন পরিশ্রম ও সততা।’ গত ১ জুন মহামারীর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হকারদের সাহায্যের লক্ষ্যে চালু হয়েছিল পিএম এসভিএ নিধি যোজনা। প্রায় ২৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১২ লক্ষ আবেদনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশে আবেদন জমা পড়েছিল প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার। তার মধ্যে ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার আবেদনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’
এদিন সন্ধ্যায় সিবিআই আয়োজিত দুর্নীতিদমন সংক্রান্ত এক সম্মেলনেও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সরাসরি জানান, আজ দেশের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ‘বংশানুক্রমিক দুর্নীতি’। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা দুর্নীতি ঘুণপোকার মতো দেশকে নিঃস্ব করে তুলছে। এভাবে ঘুরিয়ে তিনি বিরোধী দল কংগ্রেসকেই নিশানা করলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোদি আরও জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক দশকে এই প্রবণতা দেশজুড়ে প্রবল আকার ধারণ করেছিল। ২০১৪ সাল থেকে দুর্নীতি রুখতে জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। এখন সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা। উপকৃত হচ্ছেন গরিবরা। দুর্নীতি কমছে। পলে বলাই যায়, কেলেঙ্কারির যুগ এখন অতীত। দুর্নীতি, আর্থিক অপরাধ, মাদক, তছরুপ, জঙ্গিদের আর্থিক মদত একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। যা রুখতে আমাদের প্রশিক্ষণ থাকা দরকার।’
এর আগে গত রবিবার, বিজয় দশমীর ঠিক আগেও দেশবাসীর সঙ্গে ‘মন কি বাত’ বিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা আবহে দেশবাসী যেভাবে উৎসব পালনে সংযম দেখিয়ে তার দরাজ প্রশংসাও করেছেন। তাঁর কথায়, এতেই স্পষ্ট যে করোনা পরাজিত হতে বাধ্য। এই লনাইয়ে ভারতের জিত নিশ্চিত। পাশাপাশি, আসন্ন দীপাবলি উপলক্ষে সীমান্তে প্রহরারত সেনাদের নিয়েও নাগরিকদের বার্তা দেন মোদি। জানান, উৎসবের আবহে তাঁদের সম্মানেও দীপ জ্বালানো হয়। চীনা আলো বয়কটের ইঙ্গিতও ছিল তাঁর গলায়। -ফাইল চিত্র