বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, চলতি বছরের আগস্ট মাসে চারু মার্কেট থানায় এই বেআইনি নির্মাণ মামলাটি দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় বাড়ির মালিককে। গ্রেপ্তারের পরের দিন অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটি আদালতে উঠলে বিচারক প্রশ্ন তোলেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন রয়েছে, সাত বছর পর্যন্ত যে মামলায় সাজার মেয়াদ রয়েছে, সেখানে গ্রেপ্তারিটা বাধ্যতামূলক নয়। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আইনি নোটিস ধরাতে হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে পারেন। অথবা সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এক্ষেত্রে যে ধারা দেওয়া হয়েছে, তার সর্বোচ্চ সাজা পাঁচ বছর। তাই অভিযুক্তকে নোটিস না দিয়ে গ্রেপ্তার করাটা ঠিক কাজ হয়নি। এরপরই বিচারক অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তি দেন। এই মামলায় আদালতে যে কেস-ডায়েরি পেশ করা হয় তা দেখেও বিচারক চরম বিস্ময় প্রকাশ করেন। আদালত সূত্রের খবর, বিচারক দেখেন তদন্তকারী পুলিস অফিসারের পেশ করা ওই সিডিতে ছিল না বাড়িটির কোনও স্কেচ ম্যাপ, বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত কোনও ফটোগ্রাফি এবং সাক্ষীদের বক্তব্যের নথি। ছিল নাম কা ওয়াস্তে ফর্মাল এফআইআর-এর কপিসহ কয়েকটি নথি। এই ঘটনায় আদালত প্রশ্ন তোলে, পুরো বিষয়টি দেখে মনে হয়েছে, তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে না গিয়ে থানায় বসে মামলার তদন্ত করেছেন। ঘটনাস্থলে গেলে তার প্রতিফলন পাওয়া যেত মামলার কেস ডায়েরিতে।