কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
দেশের মধ্যে মাত্র একটি রাজ্যের মানুষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবে, স্বয়ং অর্থমন্ত্রী এই ঘোষণা করায় চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরেছে বিরোধী দলগুলি। প্রশ্ন তুলেছে, আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে বিহারে ভোট শুরু, তাই এই প্রতিশ্রুতি। কিন্তু দেশের বাকি মানুষ কী দোষ করল? তারা কেন ফ্রি টিকা পাবে না? কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও ট্যুইটারে কেন্দ্রের কোভিড কৌশল নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। বলেছেন, ‘কখন ভ্যাকসিন হাতে পাবেন, জানতে রাজ্যওয়াড়ি নির্বাচনের দিন দেখুন। সঙ্গে পান মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি।’
চাপের মুখে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে হয় মোদি সরকারকে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, ‘যখন ভ্যাকসিন আসবে, তখন সব রাজ্যের কাছেই সস্তায় সেই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে কেন্দ্র। এবার রাজ্যগুলি সিদ্ধান্ত নেবে যে, তারা বিনামূল্যে টিকা দেবে কি না। বিজেপি শুধু ঘোষণা করেছে যে তারা বিহারে ক্ষমতায় এলে ফ্রিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এই ঘোষণায় অন্যায়ের কী আছে? যে কোনও রাজ্য সরকার বিনামূল্যে টিকা দিতেই পারে।’ কিন্তু দেশের অর্থমন্ত্রী কীভাবে একটি রাজ্যের জন্য এই ঘোষণা করতে পারেন, বিরোধীদের সেই প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
বিরোধীদের কটাক্ষ, তাহলে কি বিহারে জয় নিয়ে বিজেপি সংশয়ে? তাই করোনা এবং ভ্যাকসিনকেও ভোটের অস্ত্র করতে হচ্ছে? এদিন বিহারের জন্য নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সীতারামন। বলেছেন, আমাদের প্রথম প্রতিশ্রুতি হল, দেশে ভ্যাকসিন আসামাত্র বিহারের মানুষ তা পাবে বিনামূল্যে। ইস্তাহারে দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় আসার পর ১৯ লক্ষ চাকরি দেওয়া হবে। এভাবে ‘ভ্যাকসিন-রাজনীতি’ নিয়ে জোরদার চর্চার মধ্যে উঠে আসছে পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও। কারণ, বিহারে যদি ভোটের আগে এমন প্রতিশ্রুতি দিতে হয়, তাহলে আগামী বছর বাংলার বিধানসভা ভোটের আগেও এই ঘোষণা হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। অর্থাৎ, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার সাড়ে ৯ কোটি মানুষও ফ্রি ভ্যাকসিন পাবে, এই প্রচারে নামবেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহরা।
এদিকে, বিনামূল্যে টিকার প্রতিশ্রুতি ঘোষণার পর এবার একটানা বিহারের প্রচারে নামতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই মধ্যে বিপদ বাড়িয়েছেন বিহারের বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। রাজ্য বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিহারের ভোটে জয় নিয়ে বিজেপির তেমন সংশয় ছিল না। কিন্তু প্রচারপর্বে সবথেকে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী। তাঁর প্রতিটি সভা সমাবেশে বিপুল ভিড় দেখা যাচ্ছে। লালুপ্রসাদ যাদবের পর বিহারে এই প্রথম কোনও নেতাকে ঘিরে এমন উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। এই ভিড় ভোটে পর্যবসিত হবে কি না, তাই এখন দেখার।