কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সাবেকিয়ানা আঁকড়ে বরাবরই পুজো হয়ে আসছে কাশ্মীরি গেটে। পুজো কমিটির অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা কমলকুমার রক্ষিত বলছিলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও স্কুলের মাঠে পুজো হবে। তবে প্রতিমা আসছে না। পুজো হবে ঘটে।
ফলে গরুর গাড়িতে চাপিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের রীতিও বন্ধ। পুজোর ১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম।’ দ্বারকা বঙ্গীয় সমাজে পুজোও এবার প্রতিমাবিহীন। কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবলু বড়ুয়া বললেন, ‘একটি আবাসনের মধ্যেই এর আয়োজন করব আমরা। পুরোহিত, তাঁর সহকারী এবং কমিটির জনাতিনেক মহিলা সদস্য ছাড়া আর কারও সেখানে প্রবেশের অনুমতি আমরা দিচ্ছি না। পুজোর বাজেট কমিয়ে মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠরত মেধাবী গরিব ছাত্রছাত্রীর পড়ার খরচের জন্য আমরা ব্যয় করব। এই মুহূর্তে উৎসবের পরিবর্তে আমাদের সামাজিক দায়িত্ব অনেক বেশি।’ করোলবাগ পুজো সমিতির সাধারণ সম্পাদক দীপক ভৌমিক জানালেন, ‘প্রথমে ঠিক ছিল ঘটপুজোই হবে। পরে ছোট প্রতিমা নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুজো হবে তিনদিক খোলা প্যান্ডেলে। সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধই। কমিটির সদস্যদেরও কার্ড দিচ্ছি আমরা।’ জনকপুরী বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম উদ্যোক্তা শৈবাল গোস্বামী বলেন, ‘অঞ্জলির জন্য টাইম স্লট বেঁধে দেওয়া হলেও এই রীতিকে যথাসম্ভব স্পর্শহীন করে রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’ ময়ূরবিহার ফেজ-থ্রি পুজো সমিতির সভাপতি পীযূষ চট্টোপাধ্যায় জানালেন, তাঁদের নিজস্ব কালীমন্দির রয়েছে। সেখানেই হবে ঘটপুজো। করোনার জেরে পুজোর স্থান পরিবর্তন করেছে আরামবাগ পুজো সমিতি।
সংগঠনের অধ্যক্ষ অভিজিৎ বসু বললেন, ‘করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক, স্যানিটাইজার, ফেস শিল্ড ইত্যাদি খাতে এবার আমরা প্রায় দু’লক্ষ টাকা ব্যয় করছি। এ বছর সচেতনতাই আসল।’