বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই প্রাক বাজেট বৈঠকে সবথেকে বেশি আলোচিত বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে চরম অর্থসঙ্কট। চলতি আর্থিক বছরে সরকারের রাজস্ব আদায় তলানিতে ঠেকেছে। তাই আগামী বাজেটে আয়ের সংস্থানই প্রধান লক্ষ্য মোদি সরকারের। কীভাবে আয় বাড়ানো যেতে পারে, সেই চর্চা থেকেই আয়কর বৃদ্ধির প্রবল সম্ভাবনা সামনে চলে আসছে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষে আয়কর কাঠামোয় বদল এনে কর আদায়ে জোর দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বাড়বে আয়কর।
মূলত দু’টি বিকল্প প্রস্তাব নিয়েই আলোচনা চলছে। প্রথমত, মাঝারি ও উচ্চ আয়ের ক্ষেত্রেই বেশি আয়কর ধার্য করা। ছাড় পাবেন তুলনামূলকভাবে কম বার্ষিক আয়ের ব্যক্তিরা। আর দ্বিতীয় প্রস্তাব— কোনও বিভাজন না করে সামগ্রিকভাবেই বাড়ানো হোক আয়কর। কিন্তু কোন পন্থায়? মনে করা হচ্ছে, লগ্নি বাবদ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় কমানো হতে পারে। এই ইঙ্গিত ২০২০-’২১ সালের বাজেটেই দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তাই আরও বেড়েছে জল্পনা। প্রাক বাজেট বৈঠকে প্রায় একমাস ধরে যে বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—২০২০-’২১ সালের বাজেটের সংশোধিত বরাদ্দ স্থির করা (রিভাইজড এস্টিমেট) এবং করোনা আবহে ২০২১-’২২ আর্থিক বছরের বরাদ্দ নিয়ে মতৈক্যে আসা।
এবারের বাজেটে নতুন একটি আয়কর কাঠামোর ঘোষণা হয়েছিল। অর্থাৎ এখন পুরনো এবং নতুন দু’টি নিয়মই চলছে। নতুন কাঠামোয় আয়কর হার কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রক। তবে শর্ত ছিল, কোনও ছাড় নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ ৮০ সি, ৮০ ডি, হাউজিং রেন্ট, লিভ ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স ইত্যাদি। ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্তও ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু এবার করোনা ও লকডাউনের জেরে যে হারে বিপুল রাজস্ব ক্ষতি হয়ে চলেছে, তাতে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়। মরিয়া হয়ে আয় বাড়াতে চাইছে মোদি সরকার। পাখির চোখ এখন বিলগ্নিকরণ এবং কর বাবদ আয়। অর্থনীতির চাকা দ্রুত ঘোরাতে আর্থিক লেনদেন শুরু করার প্রাণপণ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে জিএসটি আদায় বাড়বে। পাশাপাশি থাকছে আয়কর বৃদ্ধির রাস্তা। ফাইল চিত্র