রামগড় ও পাটনা: নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে প্রগতি ও সমৃদ্ধির ইতিহাস লিখছে বিহার। মঙ্গলবার ভোটপ্রচারে বিহারের রামগড়ে এসে এই মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উল্লেখ্য, বিহারের কুর্সি এনডিএ-র হাতে ধরে রাখতে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। দলের হেভিওয়েট নেতাদের প্রায় সবাই বিহারে প্রচারে আসছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি মোট ১২টি সভা করবেন। এদিন সভা করলের যোগী। তিন দফার ভোটে প্রচারের গুরুভার সামলাতে মাঠে নামানো হচ্ছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, স্মৃতি ইরানি, জে পি নাড্ডা সহ শীর্ষ নেতানেত্রীদের। এবিষয়ে এদিন বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদবের খোঁচা, তাহলে কি নীতীশ কুমারের মুখ কাজ করছে না?
রাজপুর সম্প্রদায়ের বসবাসের কারণে বিহারের রামগড় ‘মিনি চিতোরগড়’ নামে পরিচিত। এই রামগড়ে প্রচারে এসে এদিন নীতীশ কুমারকে ঢালাও সার্টিফিকেট দিলেন যোগী আদিত্যনাথ। ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, প্রভু রামের জন্মভূমি থেকে রামগড়ে এসেছি আমি। কিন্তু আমরা কখনও জাতপাতের রাজনীতি করি না। আমরা প্রগতি ও উন্নয়নের রাজনীতি করি। নীতীশ কুমারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বেরও ঢালাও প্রশংসা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়নমুখী প্রকল্পের উল্লেখ করে যোগী বলেন, সরকারি টাকা এখন সরাসরি গরিব মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যায়। সেই সঙ্গেই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনে কংগ্রেস ও আরজেডিকে তীব্র আক্রমণ করলেন যোগী। তাঁর খোঁচা, ওদের কাজে পরিবারই সব। আমাদের কাছে ভারত হল আমাদের পরিবার। ওরা ধর্ম নিয়ে কথা বলে, আমরা বলি উন্নয়ন নিয়ে। রামগড়ের পাশাপাশি এদিন আরওয়াল ও রোহতাসে আরও দু’টি সভা করেন আদিত্যনাথ।
যোগীর সভার আগেই এদিন বিজেপি তথা এনডিএ শিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তেজস্বী যাদব। বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী সম্পর্কে নীতীশ কুমারের কটাক্ষ ছিল, উনি খুবই অনভিজ্ঞ। সেই প্রসঙ্গ টেনেই লালু-পুত্র এদিন বলেন, আমি অনভিজ্ঞ হলে বিজেপিকে কেন আমার বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হচ্ছে? বিজেপি কতটা মরিয়া, এটাই তার প্রমাণ। নীতীশ কুমারের মুখ কি কাজ করছে না? বিশ্বের বৃহত্তম দলের (বিজেপি প্রসঙ্গে) নিজস্ব কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ নেই কেন? প্রচারের উত্তাপ বাড়ার মধ্যেই এলজেপি সভাপতি চিরাগ পাসোয়ান তাঁর মোদি-বন্দনা ও নীতিশ-সমালোচনার লাইন অব্যাহত রেখেছেন। নীতীশ বিরোধিতায় এনডিএ ছাড়লেও মোদির নাম ব্যবহার করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তিমি। ব্যতিক্রম হল না এদিনও। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশে ভাষণ রাখবেন তিনি। এরপরই চিরাগ প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা রিট্যুইট করেন এলজেপি সভাপতি। তার সঙ্গেই চিরাগের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশবাসীর সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরতে চলেছেন। দেশের স্বার্থ ওই ভাষণ মানুষকে শোনার জন্য আবেদন করছি। এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এলজেপির সব প্রার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে হবে। তবে সামাজিক দূরত্ব যেন বজায় থাকে।  বিহারের রামগড়ে প্রচারে যোগী আদিত্যনাথ।-পিটিআই