বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে বৃষ্টি কমলেও হায়দরাবাদের শহরের বহু রাস্তায় এখনও জল জমে রয়েছে। পাম্প চালিয়ে জল বের করছেন পুরসভার কর্মীরা। কিছু এলাকা থেকে জল নামলেও কাদা জমে রয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১০ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য ঘোষণা করায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। আলাদা আলাদাভাবে তাঁরা ফোন করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে। অন্যদিকে, বন্যা বিধ্বস্ত হায়দরাবাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিনোদন দুনিয়া। দক্ষিণী অভিনেতা চিরঞ্জীবী, নাগার্জুন, মহেশ বাবু সহ অনেকেই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর গঠন করা ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করেছেন। চিরঞ্জীবী ও মহেশ বাবু সাহায্য করেছেন এক কোটি টাকা করে। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন নাগার্জুন।
মহারাষ্ট্রে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জোট সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুললেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। রাজ্যকে বিঁধে তাঁর তোপ, কেন্দ্রীয় সাহায্য তো আসবে। কিন্তু তার আগে রাজ্য সরকার বলুক, তারা দুর্গতদের জন্য কী করছে।
প্রবল বৃষ্টিতে বিধ্বস্ত পশ্চিম মহারাষ্ট্র। মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্র সরকারের জোট শরিক এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দেবেন্দ্র ফড়নবিশের প্রশ্ন, কেন্দ্রীয় সাহায্য তো পরের কথা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য মহারাষ্ট্র সরকার কী করছে। সেটাও তো জানাতে হবে। এদিন দুর্গত এলাকা ঘুরে দেখার সময় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনটি শাসকদল যেমন নিজেদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত, দায়িত্ব এড়ানোর ক্ষেত্রেও তারা একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ইউপিএ জমানার তুলনায় নিশ্চিতভাবে বন্যা মোকাবিলায় এনডিএ সরকার বেশি টাকা সাহায্য করবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে অর্থ সাহায্য করতে কার্পণ্য করছে না। এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারকে উদ্দেশ্য করে ফড়নবিশ বলেন, তিনি কখনও ভুল বলেন না। আসলে এখন তিনি বর্তমান রাজ্য সরকারের অক্ষমতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।