কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নানাবিধ প্রকল্পের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তা ঘোষণার দেড় মাসের মধ্যেই করোনা এবং লকডাউনের জেরে স্তব্ধ হয়ে যায় সব কাজ। সরকারি এবং বেসরকারি যাবতীয় পরিকাঠামো ও শিল্পোন্নয়নের প্রকল্প সম্পূর্ণ থমকে যায়। মুখ থুবড়ে পড়ে অর্থনীতি। সবথেকে বড় ধাক্কা এসেছে কর্মসংস্থানে। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর অর্থনীতিকে আবার চাঙ্গা করতে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে ডিসেম্বর অর্থাৎ আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে বরাদ্দ অর্থের প্রায় ৭৫ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে ব্যয় করার নির্দেশ তার মধ্যে অন্যতম। টাকার অঙ্কে যা অন্তত ৭৫ হাজার কোটি।
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন তেল, কয়লা ও গ্যাস উৎপাদনকারী ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা। মন্ত্রক সূত্রে আশা, এই অর্থ ব্যয়ের প্রক্রিয়া শুরু হলে পরিকাঠামো এবং শিল্পোৎপাদনে বড়সড় সক্রিয়তা দেখা যাবে। ফলে পরোক্ষভাবে ইতিবাচক আর্থিক জোয়ার আসবে শিল্প ও সামাজিক সেক্টরের অসংগঠিত জীবিকা, আর্থিক লেনদেন, পরিবহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে। স্থায়ী সম্পদ নির্মাণে এই টাকা খরচ করা হবে। অর্থাৎ সড়ক, সেতু, ভবন, স্কুল, পরিকাঠামো, পরিবহণ ইত্যাদি প্রকল্পে। এই খাতে প্রকল্প রূপায়ণের অর্থই হল, অর্থনীতির কোর সেক্টর অর্থাৎ কয়লা, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, স্টিল ইত্যাদি সেক্টরে ক্রয়-বিক্রয় শুরু হওয়া। ফলে বৃদ্ধি পাবে চাহিদা। পাশাপাশি অস্থায়ী শ্রমিকদের রোজগারও বাড়বে। সোজা কথায়, কর্মসংস্থান এবং উৎপাদন ও শিল্প-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
চলতি আর্থিক বছরে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে মাইনাস ২৩.৯ শতাংশে। দেশ-বিদেশের তাবড় আর্থিক সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের পূর্বাভাস, ২০২০-’২১ আর্থিক বছরের শেষে তা পৌঁছবে অন্তত মাইনাস ৯ থেকে ১২ শতাংশে। যা ভারতের ইতিহাসে রেকর্ড। যদিও কমবেশি প্রায় প্রতিটি সংস্থারই আশা, পরবর্তী আর্থিক বছরে ঘুরে দাঁড়াবে ভারতের অর্থনীতি।
গত আর্থিক বছরের (২০১৯-’২০) বাজেটে ১৪টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টির জন্য ১ লক্ষ ১১ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। বছর শেষে তা ছাপিয়ে ব্যয় গিয়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৩২৩ কোটি টাকায়। চলতি অর্থবর্ষে বাজেটে বরাদ্দ বেড়ে হয় ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা। করোনার কারণে প্রথম তিন মাসে মাত্র ৩২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা সম্ভব হয়েছে। তাই আগামী দুই মাসে ৭৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চাইছে সরকার। ছবি: পিটিআই