কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সদ্য প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, জিডিপি’র মাপকাঠিতে ভারতের স্থান একেবারে তলানিতে। তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অর্থনীতিবিদদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ‘অক্সফ্যাম’-এর সমীক্ষা রিপোর্ট ‘আচ্ছে দিন’ আনার কারিগরের মুখে একপ্রকার ঝামা ঘষে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের গরিব ও শ্রমজীবী মানুষকে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি ভারত। বৈষম্য দূরীকরণের আশ্বাস পূরণেও চূড়ান্ত ব্যর্থ সরকার। ফলে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে ভারতের স্থান নীচের সারিতে। এমনকী, পড়শি রাষ্ট্রগুলির ঠাঁই হয়েছে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র উপরে।
‘অক্সফ্যাম’ বিশ্বের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নেতৃত্বাধীন একটি সংগঠন। সরকারগুলিকে সতর্ক করতে মানুষের দুর্দশা নিয়ে সমীক্ষা চালায়। যাকে বলা হয় ‘কমিটমেন্ট টু রিডিউস ইনইকোয়্যালিটি ইনডেক্স বা সিআরআইআই রিপোর্ট। বিশ্বের ১৫৮টি দেশকে নিয়ে সমীক্ষা করেছিল ‘অক্সফ্যাম’। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার সহ একাধিক বিষয়ে সরকারি প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিরিখে ভারতের স্থান ১২৯ নম্বরে। আর শ্রমিকের আইনি অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ১৫১ নম্বর স্থানে ভারত। আগে ছিল ১৪১ নম্বরে। দেশের অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিক। তাঁদের কর্মজীবনের নিশ্চয়তা সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে। বলা হয়েছে, দেশের অন্তত ৭১ শতাংশ শ্রমিক লিখিত চুক্তি ছাড়াই কাজ করেন। ৫৪ শতাংশের সবেতন ছুটি নেই। দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও বৈষম্যের ছবি বেশ করুণ। সমীক্ষার তথ্য বলছে, ভারতের অর্ধেক মানুষই সরকারি চিকিৎসা পরিষেবা পান না। ১৩০ কোটি নাগরিককে তাদের বার্ষিক চিকিৎসা খরচের ৭০ শতাংশই গ্যাঁটের কড়ি থেকে গুনতে হয়। এ ব্যাপারে সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে সুপারিশ করেছে ‘অক্সফ্যাম’।