কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আগামী সপ্তাহেই মূল্য সূচক নির্ধারণ প্রক্রিয়ার আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে। কেন্দ্র এই বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিলেও ওয়াকিবহাল মহলের অবশ্য আশা, ডিএ তথা বেতন বাড়বে। যার প্রধান কারণ, এতদিন শুধুই খাদ্যপণ্যের দামের ওঠানামাকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হতো মূল্য সূচক। নয়া নিয়মে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অন্য কয়েকটি দৈনন্দিন ব্যয়কেও সূচকের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে শিল্প শ্রমিক মূল্যসূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স-ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার) বাড়বেই। সুতরাং ডিএ এবং বেতন বাড়তে বাধ্য।
চলতি নিয়মে মূল্য সূচক (শিল্প শ্রমিক) নির্ধারণের ভিত্তিবর্ষ ২০০১ সাল। সেই প্রক্রিয়া অনুযায়ী, নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম বাড়লেই ডিএ বৃদ্ধি পায়। বছরে দু’বার। এক্ষেত্রে খাদ্যপণ্যের দামই মূল্য সূচকের নির্ধারক। এ পর্যন্ত একবারও এই মূল্য সূচক (শিল্প শ্রমিক) পরিবর্তন করা হয়নি। কিন্তু নয়া নিয়মে ভিত্তিবর্ষ ধরা হবে ২০১৬ সালকে। তখন খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি নন-ফুড আইটেমের মূল্য পরিবর্তনও সূচকের অন্তর্গত হবে। যার মধ্যে থাকবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিনোদনের ক্ষেত্রে ব্যয়। অর্থাৎ এসব সেক্টরে একজন কর্মীর কত অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে, সেটাও নির্ধারণ করা হবে সূচকে।
সপ্তম বেতন কমিশনও এই মূল্য সূচককে (শিল্প শ্রমিক) সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধির মানদণ্ড ধার্য করেছিল। সূচক পরিবর্তনের ফলে সংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ৩ কোটি এবং সরকারি ক্ষেত্রের প্রায় ৪১ লক্ষ কর্মীর ডিএ এবং বেতন পরিবর্তন হবে। তবে আগামী সপ্তাহে নয়া মূল্য সূচক নির্ধারণের পরেও সরকারি কর্মীরা নতুন হারে ডিএ হাতে পাবেন না। কারণ, করোনা ও লকডাউনের জেরে জুলাই মাস থেকে এক বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে ডিএ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া।