পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে, সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত হরসিমরতের রাজ্য পাঞ্জাব। কৃষিক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণে সরকারের ভুলেই যে এভাবে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মোদি মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য। হরসিমরতের মতে, ‘পাঞ্জাবের সার্বিক অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। রাজ্যের প্রায় প্রত্যেক বাসিন্দাই কোনও না কোনওভাবে চাষবাসের সঙ্গে জড়িত। বিলের বিষয়বস্তু চাষিদের কাছে স্পষ্ট না করে সংসদে পাশ করিয়ে নেওয়া মোটেও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নয়।’ একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, কৃষকদের অনেকেরই ধারণা নয়া বিলকে হাতিয়ার করে পুঁজিপতিরা ছড়ি ঘোরাবে। ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন। সর্বত্র তাদের একচেটিয়া খবরদারি ছড়িয়ে পড়বে। কৃষকদের এই ভীতি যদি সত্যিই অমূলক হয়, তাহলে তা দূর করার দায়িত্ব কেন্দ্রেরই নেওয়া উচিত।
অন্যদিকে, কৃষি বিলের বিরোধিতার আঁচ যে শুধু পাঞ্জাবে ছড়িয়েছে, এমন নয়। একই ইস্যুতে সুর চড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা, তেলেঙ্গানার টিআরএসও। শনিবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, ‘বাজপেয়ি-আদবানির সময় এনডিএর শরিকদের মধ্যে সম্পর্ক অন্যরকম ছিল। তাঁরা সব দলকে সম্মান দিতেন। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করতেন।’ হরসিমরত কাউরের ইস্তফাকে হাতিয়ার করে শিবসেনার দাবি, তারা আগেই এনডিএ ছেড়েছে। এবার এসএডির পালা। হরসিমরতের সরে আসাই প্রমাণ করে, জোট শরিকদের সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল আনা হয়েছে। সামনায় লেখা হয়েছে, ‘এই বিল সংসদে পেশ করার আগে কৃষক সংগঠন, কৃষক প্রতিনিধি, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব এবং দেশের অন্য রাজ্যের কৃষি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল।’ একইভাবে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী ও টিআরএস সুপ্রিমো কে চন্দ্রশেখর রাও জানিয়েছেন, এই বিল আদতে ‘মিষ্টিতে মোড়া ওষুধ’। বিলের প্রস্তাবে কৃষকদের সুরক্ষা নিয়ে অনেক গালভরা কথা বলা রয়েছে। কিন্তু সেগুলির কোনওটাই আখেরে কৃষকবন্ধু নয়। আগামী দিনে এই বিলের বিরোধিতায় তাঁরা সংসদে তেড়েফুঁড়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন চন্দ্রশেখর। পাশাপাশি, রাজ্যেও আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে কৃষি বিল নিয়ে ঘরে বাইরে বিস্তর চাপের মুখে মোদি সরকার।