নয়াদিল্লি: দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে। আমাদের উচিত এখনই সেকথা মেনে নেওয়া। করোনা আবহে শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন, ‘দিল্লি ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে। তাই আমাদের মেনে নেওয়া উচিত দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। তবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার এবং আইসিএমআর এবিষয়ে মন্তব্য করতে পারবে।’ তাঁর মতে, ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ বিষয়টি একটি শব্দবন্ধনীর গণ্ডিতে আটকে গিয়েছে। তবে দিল্লিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সত্যেন্দ্র। এই সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাতে তিনি সাফ বলেন, ‘আমি কী ভাবছি, তাতে কিছুই আসে যায় না। বিজ্ঞানীরাই এ নিয়ে বলতে পারবেন।’ দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই সময় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এর আগেও বেশ কয়েকবার গোষ্ঠী সংক্রমণ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবারই তা খারিজ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার ও আইসিএমআর।
এদিকে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫৩ লক্ষ ছাড়াল। তবে একদিনের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যাকে টেক্কা দিয়েছে করোনা জয়ীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, বিগত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন ৯৩ হাজার ৩৩৭ জন। সেই সঙ্গে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৫ হাজার ৮৮০ জন। সার্বিকভাবে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৭৯.২৮ শতাংশ। পাশাপাশি, শুক্রবার দেশজুড়ে করোনার বলি হয়েছেন ১ হাজার ২৪৭ জন। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৬১৯। এদিন কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী সিএন অশ্বথ নারায়ণ এবং উত্তরাখণ্ড বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ইন্দিরা হৃদায়েশের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। সিকিমেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রেমসিং তামাং সরকারের তিনজন মন্ত্রী এবং দুই বিজেপি বিধায়ক। অন্যদিকে, সংক্রমণ ও মৃত্যুহার আরও কমাতে আগামী সপ্তাহে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সাইনটিস্ট সৌম্যা স্বামীনাথনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে পুদুচেরি সরকার। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী একথা জানিয়েছেন।