গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দিলবাগ সিং বলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে পাঠানো অস্ত্র ও টাকা সংগ্রহ করতেই এই ৩ জন রাজৌরি এসেছিল। সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে গতকাল পুলিস ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের ৩৮ নম্বর ইউনিট তিন জঙ্গিকে ধাওয়া করে। সেই সময় তাদের মধ্যে একজন নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোঁড়ে। যদিও গ্রেনেডটি ফাটেনি। তিনজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়। এরা প্রত্যেকেই লস্কর-ই-তোইবার সদস্য। তাদের কাছ থেকে দু’টি এ কে ৫৬ রাইফেল, দু’টি পিস্তল, চারটি গ্রেনেড ও নগদ ১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদে মদত দিতেই নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপার থেকে এইসব অস্ত্রশস্ত্র ও টাকা পাঠানো হয়েছে। ধৃতদের সঙ্গে পাক হ্যান্ডলারদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আরও তথ্য জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাজৌরির এই ঘটনার মধ্যেই গত ১৮ জুলাই সোপিয়ানের একটি এনকাউন্টার নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই এনকাউন্টারে শামিল জওয়ানদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের (আফস্পা) নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিল সেনাবাহিনী।জুলাই মাসে সোপিয়ান জেলায় ‘অপারেশন আমশিপোরা’ নামে ওই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ ছিল, সেনা ভুয়ো এনকাউন্টার করেছে। নিহত তিনজন কোনওরকম জঙ্গি কাজকর্মে যুক্ত ছিল না। ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী। এবিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে বলেছেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমশিপোরা মামলার তদন্ত হবে। উপদ্রুত এলাকায় অভিযানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত নিয়ম কানুন লঙ্ঘন করা হলে তা কোনওভাবেই বরদাস্ত হবে না। অভিযানের ক্ষেত্রে পেশাদারি আচরণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেনাবাহিনী।
রাজৌরিতে ধৃত তিন লস্কর জঙ্গি। -পিটিআই