নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এনআইএ-র জালে ধরা পড়ল ৯ জন আলকায়েদা জঙ্গি। তাদের মধ্যে ৬ জনই ধরা পড়ল রাজ্যের মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। বাকি ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হল কেরলের এর্নাকুলাম থেকে। জানা গিয়েছে, দিল্লিসহ বেশ কয়েকটি বড় শহরে হামলার পরিকল্পনার ছক ছিল এদের। ‘লোন উলফ কায়দা’য় এই হামলার ছক করা হয়েছিল বলেও এন আইএ-র গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন। আজ, শনিবার সাতসকালেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ-র গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে মোট ১২ টি এনআইএ-র গোয়েন্দা টিম এই অপারেশনের জন্য এসেছিল। এরপরই ওই জঙ্গিদের সন্ধান মেলে। এই জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। পাশাপাশি এদের কাছ থেকে বেশ কিছু নথি, ডিজিটাল ডিভাইস, অস্ত্র জেহাদি বইও উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে বাড়িতে বোমা তৈরির বইও মিলেছে। এছাড়াও আরও প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধৃতদের মধ্যে আবু সুফিয়ান,নাজমাস সাকিব ও মনিউল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল, ও আতিউর রহমানকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা সকলেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এর্নাকুলাম থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারফ হোসেন। প্রাথমিকভাবে ওই জঙ্গিদের জেরা করে জানা যাচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ধৃতদের মগজধোলাই করেছিল পাকিস্তানের আল-কায়দা জঙ্গিরা। রাজধানী-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালানোর জন্য তাদের ‘উদ্বুদ্ধ’ও করা হয়েছিল। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই মডিউলের সদস্যরা টাকা তুলছিল এবং অস্ত্র ও গোলা-বারুদের জন্য কয়েকজন জঙ্গি নয়াদিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করছিল। এই গ্রেপ্তারির ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলার ছক রুখে দেওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। জানা গিয়েছে, এনআইএ-র ওই ১২ টি টিমের মধ্যে ৮টি টিম তল্লাশি অভিযানের পর দিল্লি ফিরে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক যোগ মেলায় বাকি ৪টি টিম এখনও ডোমকল সহ অনান্য এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে।