কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
কেন্দ্রীয় সরকারের আনা দুটি কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত বিলের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের মতো হরিয়ানাতেও কৃষকরা তুমুল বিক্ষোভে নেমেছে। আর সেই আন্দোলনকে সমর্থন করে এবং কৃষি বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে হরিয়ানার বিজেপি জোট সরকারের প্রধান সঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টিও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকী ওই দলের নেতা ও হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্যন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে দলের একাধিক বিধায়ক বিদ্রোহও করেছে। তারা বলেছে, এখনই যদি দুষ্যন্ত কৃষকদের পাশে না দাঁড়ান, তাহলে দল ভেঙে যাবে। এমনকী নেতৃত্ব বদলেরও ডাক দিয়েছে কয়েকজন বিদ্রোহী বিধায়ক। এ নিয়ে দিল্লিতে বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বও চরম উদ্বিগ্ন।
শুধু পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেই নয়, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়েও কৃষক আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটি পাঞ্জাব বনধের ডাক দিয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে ডেকেছে রেল ও রাস্তা রোকো অভিযানও। কৃষক মজদুর সংঘর্ষ কমিটি ২৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ অভিযানও করবে। বৃহস্পতিবার লোকসভায় দুটি কৃষি সংস্কার বিল পাশ হওয়ার পর আজ রাজ্যসভাতেও এই বিতর্কিত বিল পেশ হওয়ার কথা। সুতরাং রাজ্যসভাতেও বিরোধিতার মুখে পড়তে হবে সরকারকে। হঠাৎ পরিস্থিতি যে রকম ঘোরালো হয়েছে তাতে আজ ভোটাভুটি হলে সরকারকে বিপাকেও পড়তে হতে পারে। এদিকে, কৃষিবিল নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ক্রমেই জটিল আকার নিচ্ছে দেখে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিহারের জন্য নানাবিধ প্রকল্প ঘোষণা করার সময় মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেছেন, কৃষি বিল কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করবে। বিরোধীরা বিভ্রান্ত করছে। অসত্য প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি এপিএমসি আইন নিয়েও কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমের মতো বিরোধী তো বটেই, সরকারের জোট শরিক অকালি দল, জননায়ক জনতা পার্টি বিক্ষোভে সামিল হয়েছে। তাদের অভিযোগ, এভাবে ভারতের কৃষি সেক্টরকে কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্য তুলে দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে আচমকা মোদি সরকার করোনা আবহের মধ্যেই কৃষক বিদ্রোহের সম্মুখীন। কৃষি সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতায় পাতিয়ালায় বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই