গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেডিইউয়ের একটি সূত্রের বক্তব্য, ২০১০ সালের ভোটে শুধুমাত্র বিজেপির সঙ্গে আমাদের জোট ছিল। ফলে আসন রফা নিয়ে বিশেষ কোনও সমস্যা হয়নি। ২০১৫ সালের ভোটে আমরা মহাজোটের সদস্য ছিলাম। সেবার ১০১টি আসনে লড়েছিলাম। আমরা ফের এনডিএর সহযোগী। এবার আমরা ১১৫টি আসন পেতে বধ্যপরিকর। বিজেপি তাদের কোটা থেকে এলজেপির জন্য জায়গা ছাড়ুক। আমরা আমাদের কোটা থেকে জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম লিগ (সেকুলার)-এর জন্য আসনের ব্যবস্থা করে দেব। যদিও এবিষয়ে বিজেপির এক নেতা বলেন, দিল্লিতে দুই দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে আসন রফা নিয়ে আলোচনা চলছে। কে কত আসনে লড়বে, তা নিয়ে এখনই কিছু বলাটা কঠিন। আসন রফা নিয়ে এনডিএ শিবিরের এই দর কষাকষি শেষ পর্যন্ত কোন দিকে গড়ায়, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তারই মধ্যে এদিন ভোটমুখী বিহারের জন্য আরও একঝাঁক প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ কোশী রেলসেতু। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এছাড়াও এদিন আরও ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পগুলির মূল্য ৩ হাজার কোটি টাকা। সাড়ে আট দশকের বেশি প্রতীক্ষার পর বিহারের মিথিলাঞ্চলের মানুষ এই রেলসেতু পেলেন। ফলে রেলসেতু চালু হওয়াকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে মন্তব্য করলেন মোদি। উল্লেখ্য, ভারত-নেপাল সীমান্ত বরাবর এই রেলসেতু কৌশলগত কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই সেতুটি অনেক আগেই চালু হওয়া উচিত ছিল। এটি নিছক সেতু নয়, এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি জড়িয়ে রয়েছে এর সঙ্গে। ২০০৩ সালের ৬ জুন কোশী রেল মহাসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি। সেই সময় রেলমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ কুমার। কিন্তু ২০০৪ সালের পর সেতুর কাজ আর এগয়নি। কাজ গতি পায় ২০১৪ সালের পর। নীতীশজির মতো সহযোগী থাকলে যে কোনও কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব। ছবি: পিটিআই