নয়াদিল্লি: মিডিয়া ট্রায়াল চলা নিয়ে অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংয়ের আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্রকে নোটিস পাঠাল দিল্লি হাইকোর্ট। রকুল অভিযোগ করেন, রিয়া চক্রবর্তী প্রথমে মাদক মামলায় তাঁর নাম উল্লেখ করলেও পরে তিনি সেই বয়ান থেকে সরে এসেছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর নাম মাদক মামলার সঙ্গে জুড়ে খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের এই প্রচার বন্ধ করার জন্য অভিনেত্রী হাইকোর্টে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার সেই আবেদনের শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রককে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নোটিস পাঠায়। মন্ত্রক ছাড়াও এদিন ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং এজেন্সি (এনবিএ) এবং পিটিআইকেও তাদের অবস্থান জানাতে নোটিস পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম যাতে খবর সম্প্রচারের নিয়ম বিধি মেনেই খবর প্রকাশ করে সেই আশাও প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।
এদিকে সুশান্ত মামলার তদন্ত করতে আসা সিবিআইয়ের বিশেষ দল মুম্বই থেকে এদিন দিল্লিতে পৌঁছেছে। এইমসের বিশেষ ফরেন্সিক তদন্তকারী দলের সঙ্গে আগামী সপ্তাহেই সিবিআইয়ের বৈঠক হবে। এইমসের বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান প্রফেসর সুধর গুপ্তা বলেন, বৈঠকেই তাঁরা রিপোর্ট রাখবেন। তবে সেই রিপোর্টে কী থাকবে সে বিষয়টি খোলসা করেননি তিনি। যেহেতু সুশান্ত মামলা বিচারাধীন সেকারণে সিবিআইকেই রিপোর্ট সরাসরি জানানো হবে বলে গুপ্তা জানিয়ে দেন।
এদিকে, সুশান্ত সিং রাজপুত সম্পর্কে আরজেডি বিধায়ক অরুণ যাদবের মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হচ্ছে বিহার। বিধায়ক যাদব বলেছিলেন, পদবী রাজপুত হলেও সুশান্ত সিং আদতে রাজপুত ছিলেন না। তাই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন না, এই তত্ত্ব টেকে না। যদি সত্যিই তিনি রাজপুত হতেন তাহলে আত্মহত্যা করতে পারতেন না। কারণ রাজপুতরা সাহসী। আরজেডি বিধায়ক অরুণ যাদবের এহেন মন্তব্য নিয়ে নতুন করে বিতর্ক ছড়াল। এই মন্তব্যের জন্য বিহারবাসীর কাছে আরজেডি বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে বিজেপি এবং জেডিইউ। দুই দলই ওই মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছে, তরুণ অভিনেতার মৃত্যু যেখানে গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে, সেখানে তাঁর সঙ্গে রাজপুতদের সাহসকে তুলনা করা আদতে বিহারবাসীকে অপমান করা। আরজেডি বিধায়ককে ক্ষমা চাইতে হবে। এদিকে, মাদক মামলা নিয়ে এবার দুই জয়ার তরজা। বুধার সংসদে জয়া বচ্চনের মন্তব্য নিয়ে এদিন সমালোচনা করেন জয়াপ্রদা। কয়েকদিন আগে বিজেপি সাংসদ রবি কিষেণ দাবি করেছিলেন যে, বলিউডে মাদকযোগ রয়েছে। এবং তা নিয়ে এনসিবি ঠিক দিতেই তদন্তে এগচ্ছে। বচ্চন তার প্রতিবাদ করে বুধবার বলেন যে, ভারতীয় সিনেমা জগতকে কলুষিত করার চক্রান্ত চালানো হচ্ছে। এদিন আবার জয়াপ্রদা বলেন, জয়া বচ্চনজি এই ইস্যু নিয়ে স্রেফ রাজনীতি করছেন। রবি কিষেণ ঠিকই বলেছেন। দেশের যুব সমাজকে রক্ষার জন্য মাদক পাচার নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।