বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভারত-চীন বিবাদ ইস্যুতে এদিন রাজ্যসভায় বিরোধী সদস্যদের আশ্বস্ত করেন রাজনাথ। বিরোধী শিবির থেকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনি জানতে চেয়েছিলেন, চিরাচরিত পয়েন্টগুলি থেকে কি ভারতীয় সেনা পিছু হটছে? জবাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পূর্ব লাদাখের সংঘাতস্থলে ভারতীয় সেনার টহলদারিতে কোনও বদল হবে না। বিশ্বের কোনও শক্তিই ভারতীয় সেনার টহলদারি থামাতে পারবে না। আর সেই কারণেই এতজন জওয়ান আত্মবলিদান দিয়েছেন। তবে সেনার অপারেশনের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় এর বেশি কিছু জানানো সম্ভব নয়। আশা করি, বিষয়টির সংবেদনশীলতার জায়গাটি সদন বুঝবে।
এদিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু রাজনাথকে অনুরোধ করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী যেন সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে এবিষয়ে তাঁদের প্রশ্নগুলির জবাব দেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার চীনের সঙ্গে সংঘাতের ইস্যুতে লোকসভায় বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজনাথ। এদিন রাজ্যসভায় বিবৃতি দিলেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের পরিস্থিতি একেবারেই অন্যরকম। শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রতি আমরা বরাবর দায়বদ্ধ। ১৩০ কোটি নাগরিককে বলতে চাই, আমরা দেশের মাথা নত হতে দেব না। কারও কাছে আমরা মাথা নত করব না। কেউ আমাদের কাছে মাথা নত করুক, সেটাও আমরা চাই না। চীনকে তোপ দেগে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বেজিংয়ের কথা ও কাজের মধ্যে ফারাক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনার মধ্যেই ২৯ আগস্ট রাতে উস্কানি দেয় চীন।
সেনাবাহিনীর মনোবল বাড়াতে এদিন বহু বিরোধী নেতাই সশস্ত্র বাহিনীর পাশে থাকার বার্তা দেন। তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, জয় হিন্দ! পাশাপাশি এদিন প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির প্রশ্ন ছিল, এপ্রিলের পর থেকে সীমান্তের স্থিতাবস্থায় কি বদল ঘটেছে? তিনি আরও বলেন, গলওয়ান উপত্যকা কোনওদিনই বিতর্কিত ছিল না। অথচ সেখানে আমাদের সেনাবাহিনীকে টহলদারির কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্যাংগংয়ে ফিঙ্গার এইটে আমরা টহলদারি চালাতাম। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমরা যাতে আগের মতোই গোটা সীমান্তে টহলদারি চালাতে পারি, সরকার তা নিশ্চিত করুক। আরও এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, তাঁর দল সরকারের পাশেই রয়েছে। কিন্তু সীমান্তের স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিজেডি নেতা প্রসন্ন আচার্য বলেন, চীনকে বিশ্বাস করা উচিত নয়। চীনের সঙ্গে আলোচনার সময় সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। লের পথে ভারতীয় সেনার লটবহর। ছবি: পিটিআই