বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ইতিমধ্যে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের তৃতীয় স্তরের ট্রায়াল চলছে। প্রায় ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড-এর প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন,‘ডক্টর রেড্ডি’স ল্যাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আমরা খুশি। মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের তৈরি ভ্যাকসিন ভারতকে সুরক্ষা দেবে বলে বিশ্বাস।’ অন্যদিকে ডক্টর রেড্ডি’স-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি ভি প্রসাদের বক্তব্য, ‘ফেজ ওয়ান ও টু-এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালে আশাব্যঞ্জক ফল দেখা গিয়েছে। ভারতীয়দের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে আমরা ফেজ থ্রি-র ট্রায়াল চালাব।’ এর পাশাপাশি ভারতে ফের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। বুধবার ওই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল আরম্ভ করে তারা। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরুর জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার অনুমতি চেয়েছিল সিরাম। তাতে ইতিমধ্যে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার আশ্বাস সত্ত্বেও ভ্যাকসিন উৎপাদনে শুধুমাত্র বিদেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে চাইছে না কেন্দ্র। দেশের মাটিতেও যাতে সমান্তরালভাবে টিকা তৈরির কাজ সচল থাকে, সেই লক্ষ্যে মোট ৩০টি সংস্থাকে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। বুধবার সংসদে একথাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি বলেন, ৩০টির মধ্যে তিনটি সংস্থা ইতিমধ্যে টিকা তৈরির কাজে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এছাড়া আরও চারটি সংস্থা ‘প্রি ক্লিনিক্যাল ডেভলাপমেন্ট স্টেজ’-এ রয়েছে। যদিও এত আশার মধ্যেও কোভিড মোকাবিলায় গণটিকাকরণ নিয়ে আশঙ্কার কথা শোনাল কেন্দ্র। দেশের আমজনতার সর্বস্তরে এই টিকার ব্যাপক প্রয়োগ নিয়ে সংশয়ের সুর শোনা গেল পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন-এর প্রধান কে শ্রীনাথ রেড্ডির গলায়। তিনি সাফ বলেন, ‘মনে হয়, সারা দেশে টিকাকরণের কাজ মিটতে দেড় বছর লেগে যেতে পারে।’