পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আড্ডা আর আড়ম্বরে প্রাণবন্ত ছিল দিল্লির পুজো।
এবার সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে ছবিটা। হবে না পংক্তিভোজে রকমারি ভোগ খাওয়া। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা হচ্ছে ভার্চুয়াল দর্শনের। অঞ্জলিও চলবে অনলাইনে। চিত্তরঞ্জন পার্কের ইবিডিপি (ইস্ট বেঙ্গল ডিসপ্লেসড পারসনস) অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক পি কে পাল জানান, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে মন্দির বা অন্যান্য জমায়েতে ১০০ জন পর্যন্ত লোকের আনাগোনায় ছাড় দেওয়া হলেও এবার পুজো হবে কোনওরকমে। চারদিনের জায়গায় অধিকাংশ জায়গায় পুজো হবে মাত্র একদিনের। নমো নমো করে। এমনকী অনেক জায়গাতেই হবে শুধু ঘট পুজো।
দীর্ঘদিন প্রবাসে পুজোর সঙ্গে যুক্ত অন্যতম সংগঠক উৎপল ঘোষের কথায়, পুজো কমিটিগুলি অপেক্ষা করছে কখন আসবে সরকারের নোটিফিকেশন। তাতেই স্পষ্ট হবে বিধিনিষেধ। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার দলের বিধায়কদের মাধ্যমে বাঙালি আয়োজকদের জানিয়ে দিয়েছে, এবার বিসর্জনের কোনও ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। যমুনা তো নয়ই, কৃত্রিম পুকুরেও নয়। বড় প্যান্ডেল করা যাবে না। কালীবাড়ি, দুর্গামন্দির, শিবমন্দিরের মতো যেসব জায়গায় দুর্গা পুজো হয়ে আসছে, সেখানে আয়োজন করা যেতে পারে। তাও সামান্য। প্রতিমা ভাসানের ব্যবস্থা করতে হবে মন্দির চত্বরেই। প্রতিমার মাপ পাঁচফুটের বেশি করা যাবে না বলে গতবারই ‘পারফরমেন্স লাইসেন্সে’ নির্দেশিকা দিয়েছিল দিল্লি পুলিস। কড়া অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেছিল জেলাশাসকের অফিসও। কিন্তু চূড়ান্ত নির্দেশিকা আসতে দেরি করায় অনেক পুজো কমিটির পক্ষেই তা মানা সম্ভব হয়নি। তবে এবার ছাড় নেই। তাই রাজধানীতে পুজো এবার হবে জৌলুসহীন।