গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
রাজনাথ আরও বলেছেন, ভারতীয় সেনা যেখানে সংযমরক্ষার প্রয়োজন, সেখানে নিজেদের সংযতই রাখছে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে বীরত্ব প্রদর্শনের দরকার আছে, সেখানে আগ্রাসী ভূমিকাই নিচ্ছে। সম্প্রতি চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতের ভূমি দখল করার চেষ্টা করেছে। ভারতীয় সেনা তা আটকে দিয়েছে। লাদাখে আমাদের সেনা যে প্রবল বীরত্বের প্রমাণ দিচ্ছে, সেটা এককথায় অতুলনীয়। রাজনাথের কথায়, আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত। সংসদকে তিনি আবেদন করেন একসুরে সেনার পাশে থাকার বার্তা যেন দেওয়া হয়। পাশাপাশি, এদিন তিনি সংসদের মাধ্যমে মঙ্গলবার দেশকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা সম্পূর্ণ নিরাপদ হাতে রয়েছে। আমাদের সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ও সীমান্তকে চীন সম্মান করছে না। ওই সীমান্ত যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমেই তৈরি হয়েছিল, সেটা মানতে চাইছে না চীন। যেভাবে চীন সাম্প্রতিককালে একের পর এক অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে, তা সম্পূর্ণভাবে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের সমঝোতার বিরোধী।
একথা সর্বজনবিদিত চীন এখনও ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে রয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকাও চীন দাবি করে তাদের। পাকিস্তান দখল করেছে সাড়ে ৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা যা পাক অধিকৃত কাশ্মীর। এই অবস্থায় গত এপ্রিল থেকে আমরা লক্ষ্য করেছি চীন পূর্ব লাদাখ এলাকায় নানারকম পরিকাঠামো নির্মাণ করতে শুরু করেছে। আমরা দফায় দফায় চীনকে বুঝিয়ে দিয়েছি যে, এই প্রয়াস আমরা মেনে নেব না। এর মধ্যেই মস্কোয় দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পাঁচ দফা সূত্র সামনে এসেছে। চীনও মেনে নিয়েছে এই সূত্রকে সামনে রেখেই আলোচনা হবে। কিন্তু তারা আগ্রাসী ভূমিকা থেকে সরে আসেনি। রাজনাথ লোকসভায় বলেছেন, আমরা জানিয়ে দিয়েছি, চীনের এই আচরণ ভারত মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেছেন, সংসদে অবিলম্বে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হোক সেনার পাশে থাকার পূর্ণ বার্তা দিয়ে।