পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শচীন পাইলট নেতৃত্বাধীন বিধায়কদের বিদ্রোহ শেষে বিজেপি শিবির চাল বদলায়। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়ে দেয়, শুক্রবার গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে। পাল্টা কংগ্রেস নেতৃত্ব জানায়, তারা আস্থা ভোটে যাবে। এদিন সকাল ১১টায় মধ্যপ্রদেশের প্রয়াত রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডন এবং ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অজিত যোগীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় অধিবেশন। যদিও প্রবল বৃষ্টির কারণে হোটেলে থাকা বেশ কয়েকজন কংগ্রেস বিধায়ক আসতে পারেননি। করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বিধানসভায় বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সামনের দিক থেকে দ্বিতীয় সারিতে পাইলটের জন্য আসন নির্দিষ্ট করা হয়েছিল।
এদিন রাজস্থানের পরিষদীয়মন্ত্রী শান্তি ধারীওয়াল বিধানসভায় আস্থা প্রস্তাব আনেন। বিতর্কের শুরুতেই মধ্যপ্রদেশ, মণিপুর ও গোয়ার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরকার ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। ধারীওয়াল বলেন, কিন্তু রাজস্থানে সে কাজে বিজেপি সফল হবে না। বিরোধী বিজেপি শিবির পাল্টা অভিযোগ করে, দলের অন্তর্কলহ চাপা দিতেই কেন্দ্র তথা বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে কংগ্রেস। যদিও, ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় আস্থা প্রস্তাব। এরপরেই গেহলট বলেন, ‘আমরা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে দিয়েছি।’ পরে ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, রাজস্থানের মানুষ বিজয় অর্জন করেছেন। বিধায়কদের ঐক্য বিজয়ী হয়েছে। সত্যের জয় হয়েছে। সত্যমেব জয়তে।
আর ধারীওয়াল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে মুঘল সম্রাট আকবরের তুলনা টেনে বলেন, ‘সাম্রাজ্য বিস্তারের সময় রাজস্থানের মেবারে যুদ্ধে পরাস্ত হয়েছিলেন আকবর। একইভাবে অশোক গেহলট নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেওয়ার বিজেপির চক্রান্ত ভেস্তে গেল।’ আস্থাভোটের পরই স্পিকার সি পি যোশি আগামী শুক্রবার পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি করে দেন। আসন নির্দিষ্ট করা থাকলেও সেখানে বসেননি পাইলট। তাঁকে দ্বিতীয় সারিতে বিজেপি বিধায়কদের আসন লাগোয়া এক নির্দল বিধায়কের পাশে চেয়ারে দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়কেরা খোঁচা দিলে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একদিকে শাসকদল, আর অন্যদিকে বিরোধী। তাহলে কাকে সীমান্তে পাঠানো হবে? শক্তিশালী সেনাকেই সব সময় সীমান্তেই পাঠানো হয়।’ পাশাপাশি, যে কোনও মূল্যে কংগ্রেসকে রক্ষা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের ১০৭ জন বিধায়ক রয়েছে। সেইসঙ্গে শরিক ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে। গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হলে ১০১ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। গেহলট এদিন ১২৫ জন বিধায়কের সমর্থন পেয়েছেন। অন্যদিকে, বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭২। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়ককে আস্থা ভোটে অংশ না নেওয়ার জন্য গতকালই হুইপ জারি করেছিল বিএসপি। যদিও সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই তাঁরা ট্রেজারি বেঞ্চে হাজির হয়েছিলেন।