কর্মরতদের উপার্জন বৃদ্ধি পাবে। শরীর-স্বাস্থ্য ভালোই যাবে। পেশাগত পরিবর্তন ঘটতে পারে। শিল্পী কলাকুশলীদের ক্ষেত্রে শুভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই রাতে একটি ‘সাম্প্রদায়িক’ ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংঘর্ষের সূত্রপাত। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক অখণ্ড শ্রীনিবাস মূর্তির এক আত্মীয় পোস্টটি করেছিলেন বলে অভিযোগ। রাতে হাজারেরও বেশি মানুষ বিধায়কের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা বিধায়কের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছুঁড়তে থাকেন। যদিও বিধায়ক তখন বাড়িতে ছিলেন না। এটিএম, দোকান-পাট ভাঙচুর এবং দু’শোর বেশি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর দুই থানা মিলিয়ে পুলিসের বিশাল বাহিনী সেখানে পৌঁছালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিস ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে। কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পুলিস গুলি চালাতে বাধ্য হয়। তখন তিনজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া কমপক্ষে ৫০ জন পুলিসকর্মী জখম হয়েছেন। পুলিস ১১০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। বেঙ্গালুরুর পুলিস কমিশনার কমল পন্থ গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিধায়কের আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি সব পক্ষকে তিনি শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, কেউ আইন হাতে তুলে নিতে পারেন না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তি মানুষকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন। এদিকে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে কেউ উস্কানিমূলক পোস্ট করেছে বলে কংগ্রেস বিধায়কের আত্মীয় দাবি করেছেন। বুধবার কর্ণাটকের বিজেপি নেতা বি এল সন্তোষ কংগ্রেস নেতৃত্বকে খোঁচা দিয়ে ট্যুইটারে লেখেন, ‘বেঙ্গালুরুর ঘটনার নিয়ে নীরব কেন কংগ্রেস। মানুষের মৃত্যুর দায় কে নেবে?’ যদিও এনিয়ে কংগ্রেসের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।